ঢাকা অফিস :: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে আবারো ইউও নোট (আনঅফিসিয়াল নোট) দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এই নোটে তিনি মনে করেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা না নিলে কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট নিরসন সম্ভব হবে না। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।
মাহবুব তালুকদার তার ইউও নোট প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, শাহাদত হোসেন চৌধুরীর পাশাপাশি দুই রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।
মাহবুব তালুকদার নোটে বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট নিরসন সম্ভব হবে না। কমিশন আইনানুগভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক হবে এবং কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা জনসমক্ষে প্রতিভাত হবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রার্থীদের হলফনামা নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। হলফনামা যাচাইয়ের কোনো উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এসব বিষয় বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘ইতোপূর্বে ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রদত্ত আমার ইউও নোটে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বন্ধ করার জন্য একটি পরিপত্র জারির অনুরোধ জানিয়েছিলাম। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, নির্বাচনে সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। আরেকজন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা শহরে রাজনৈতিক বক্তৃতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সকল কার্যক্রম সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের সুস্পষ্ট নির্দেশনাসহ পরিপত্রটি জারির আবশ্যকতা রয়েছে বলে মনে করি।’