১৬ এপ্রিল এসআই ইদ্রিসুর রহমান, এসআই মফিজুল ইসলাম পিপিএম, এসআই শামীম হোসেন, এএসআই রঞ্জন বসু সঙ্গীয় ফোর্সের অভিযানে কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামী তহিদুল ইসলামকে আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য ইয়ার আলীসহ হামিদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা শাখা ও যশোরের পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) রুপণ কুমার সরকার পিপিএম।
মূলত শার্শা থানার মামলা নং-২২, তাং-১২/০৪/২১ খ্রিঃ, ধারা-৩৭৯/৪১১/৪১৩/৪৬৮/৪৭১/৪২০/৩৪ পেনাল কোড এর জেরে যশোরের শার্শা ও ঝিকরগাছা থানা এলাকা হতে চোর চক্রের সদস্য নাজমুলকে গ্রেফতার সহ আসামীদেল ভাড়া বাসা থেকে এক জোড়া পুলিশের মনোগ্রাম সহ হ্যান্ডকাফ, ০৬ টি মাস্টার চাবী ও দুইটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন তারা।
গ্রেফতারকৃত আসামি তহিদুল ও ইয়ার আলীকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ও আরো ০৬ (ছয়) টা মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে তাদের তথ্য মতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা এলাকা হতে একই চোর চক্রের সদস্য শরিফুল, জাকির, ইলিয়াসদের গ্রেফতার করেন ও তাদের দখল হতে দুটো মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন।
জেলা গোয়েন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আসামীরা সংঘবদ্ধভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় মোটরসাইকেল চুরি কার্যক্রম করে আসছিল। পুলিশের হ্যান্ডকাফের বিষয়ে আসামী ইয়ার আলীর জবানবন্দি অনুযায়ী পুলিশ জানান, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন খানপুর এলাকায় একটি মাছের ঘেরের পাড় হতে নীল রংয়ের পালসার চুরি করে, মোটরসাইকেলে রক্ষিত ব্যাগে হ্যান্ডকাফটি ছিল এবং সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করে জানা যায় শ্যামনগর থানায় কর্মরত একজন পুলিশ অফিসারের মোটরসাইকেল চুরি হয়।