মাদারীপুর প্রতিনিধি: সোমবার দুপুরে শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, কালকিনির কালাই সরদারেরচর এলাকার মো. মোকসেদ বেপারী (৪৪) ও পাশের গ্রামের হামিরুন বেগম (৪১)।
তবে আটককৃতদের দাবী, ডাক্তার দেখাতে এসে বিশ্রামের জন্য হোটেলে গিয়েছিলেন তারা।ৱ
তাদের দাবি, সকালে মাদারীপুর শহরের নুরজাহান চৌধুরী নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন তারা। এ সময় জানতে পারেন ডাক্তার ৩ ঘণ্টা পরে আসবেন। তাই সেখান থেকে বেরিয়ে পাশের একটি আবাসিক হোটেলে বিশ্রাম নিতে যান। এ সময় মাদারীপুর ডিবি পুলিশের সদস্যকে ফোন দিয়ে হোটেলে নিয়ে আনেন হোটেল মালিক। পরে পুলিশের ওই সদস্য তাদের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। মোকসেদ বেপারী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা হুমকি দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর সদর মডেল থানা থেকে পুলিশ এসে ওই বেয়াই-বেয়াইনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মোকসেদ বেপারীর দাবি, ‘বেয়াইন হামিরুনকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর শহরে আসার বিষয়টি তার স্ত্রীও জানেন। হোটেলে আসার পর হোটেল মালিক ও ডিবি পুলিশের এসআই আব্দুর রশিদ অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে তাদের দু’জনের ছবি তুলেন এবং ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন।’
মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সুকদেব রায় বলেন, হোটেলে অসামাজিক কাজ হচ্ছে এমন খবর পেয়ে আমাদের এসআই রশিদ সেখানে যান। পরে থানা পুলিশও চলে আসে। এরপর থানা পুলিশের কাছে বেয়াই-বেয়াইনকে হস্তান্তর করা হয়।
মাদারীপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, স্থানীয়দের কাছে জানতে পেরে ওই হোটেলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে আটক দু’জনকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে, পুলিশের কোন কর্মকর্তা এ ব্যাপারে তাদের কাছে টাকা দাবী করেছে এমন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।