স্পেশাল করেসপনডেন্ট |নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হলেই আমরা ভয় পাবো সেটা ভাবার কারণ নাই। আমাদের নিয়ে খেইলেন না, খেলাইয়েন না। আমার লোকজন খারাপ হলে ছাড় দিব না। কিন্তু নেতাকর্মীকে বিনা কারণে হয়রানি করলে নারায়ণগঞ্জ এর মাটিতে চাড়া নাচায়া দিব। এক সেকেন্ড সময় দিব না। এর পরেও যদি খেলা হয়। আগামীতে ২৪ ঘণ্টা না মাত্র ৬ ঘণ্টার সময় দিব। আশা করি আর খেলা হবে না। খেলার আগেই খেলা শেষ হয়ে যাবে। ৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে শহরের ইসদাইরে বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে জরুরী কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। ‘নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী পরিবারকে ধংসের চক্রান্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ ব্যানারে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের নেতারা বলছেন, গণপদত্যাগ করবে। কিন্তু আমি বলি এত উত্তেজিত হওয়ার কিছু নাই। মশা মারতে কামান লাগানোর দরকার না। আপনাদের এত টেনশন করার কারণ নাই। উত্তেজিত হবেন না। শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি নষ্ট করা যাবে না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা কী নারায়ণগঞ্জের খোঁজ রাখেন না। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে টের পাবেন তিনি খোঁজ রাখেন কী না। শামীম ওসমান বলেন, কয়লাতে খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আগুন জললে কিন্তু নিভাতে পারবেন না। আমি শামীম ওসমানও তাদের সামলাতে পারবো না। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের লোকজন কিন্তু বিচ্ছু বিচ্ছু খেলতে অভ্যস্ত। আমি আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি। অগ্নিগিরি দেখেছেন অগ্নিগিরির আগুন কিন্তু দেখেন নাই। নারায়ণগঞ্জে অগ্নিস্ফূলিঙ্গ হবে। তিনি বলেন, আপনারা যা দেখছে সেটা আসল না। পর্দার আড়ালে কিছু খেলা হয়। কেউ কেউ ভুলে সে খেলায় পা দেয়। হয়তো নারায়ণগঞ্জের মেহমানরা সেই খেলায় পা দিয়েছেন। আমি কারো নাম বলবো না। আমি তাদের গোনায় ধরি না। বাইরের লোকজনদের দোষ দিয়ে লাভ নাই। আমার ঘরের লোকজনদের দোষ। আমাদের ভেতরেই খন্দকার মোশতাকদের অবস্থান। বাইরের মানুষের কোন দোষ নাই। আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হলেই আমরা ভয় পাবো সেটা ভাবার কারণ নাই। মনে রাখতে হবে আমরা এখনো বুড়ো হই নাই। আমাদের নিয়ে খেইলেন না, খেলাইয়েন না। আমরা এখনো জোয়ান আছি। মন্ত্রীকে প্রশ্ন করায় জুয়ার মামলা দিবেন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। আমার আত্মীয়কে মদের মামলা দিবেন। এসব দিয়ে আমাকে কাবু করতে পারবেন না। শামীম ওসমান বলেন, কয়লাতে খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আগুন জললে কিন্তু নিভাতে পারবেন না। আমি শামীম ওসমানও তাদের সামলাতে পারবো না। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের লোকজন কিন্তু বিচ্ছু বিচ্ছু খেলতে অভ্যস্ত। আমি আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি। অগ্নিগিরি দেখেছেন অগ্নিগিরির আগুন কিন্তু দেখেন নাই। নারায়ণগঞ্জে অগ্নিস্ফূলিঙ্গ হবে। নিজের অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ৭৯ সালে আমরা মাত্র ৭ জন ছেলে নিয়ে জিয়াউর রহমানকে নারায়ণগঞ্জকে ঢুকতে দেই নাই। তোলারাম কলেজে মন্ত্রীরা প্রবেশ করতে পারে নাই। আমাদের উপর গুলিও করেছিল। খালেদা জিয়াও নারায়ণগঞ্জে এসে বলেছিল শামীম ওসমান কোথায়, কোথায় আওয়ামী লীগ। তখন আমরা শ্রমিকদের বলেছিলাম রাস্তা ব্যারিকেড দিতে। আর ছাত্রদের বলেছিলাম রেল লাইন অবরোধ করতে। শামীম ওসমান আছে কী না তখন অস্তিত্ব জানান দেওয়া হয়েছিল। তখন কিন্তু খালেদা জিয়াও শহর থেকে যেতে পারেনি। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিন্তু আমরা বিএনপিকে তাড়িয়েছিলাম। জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সামছুল ইসলাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগরের সেক্রেটারী খোকন সাহা, সহ সভাপতি চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সেক্রেটারী শওকত আলী, বন্দর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, জেলা কৃষক লীগের সেক্রেটারী ইব্রাহিম চেঙ্গিস, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু প্রমুখ।