আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১২:১০

আরবপুরের বহুল বিতর্কিত মান্নানের বিরুদ্ধে মামলা।

২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের বড় ভেকুটিয়া গ্রামের ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চাঁদা দাবির অপর একটি মামলার পাল্টা হিসেবে একই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য আবদার হোসেন মঙ্গলবার আদালতে এই মামলা করেছেন। সিনিয়র জুুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে আদেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ১৬ আগস্ট ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে মামলা করেছিলেন সুমিত্রা বিশ্বাস নামে এক নারী।

অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য আবদার হোসেনের দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন, বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান, আয়নাল হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মান্নানের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস রূপা, বেড়ে শেখের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন, আলম মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন, মনির হোসেনের ছেলে কালু মিয়া, মৃত দেবেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে মাধাই কুমার রায় ও জগদীশ রায়, জগদীশ রায়ের স্ত্রী সুমিত্রা বিশ্বাস, কিশোর ঘোষের ছেলে অমিত ঘোষ, অজিত দত্তের ছেলে রামদত্ত প্রসাদ ও বিশ্বজিৎ দত্ত, কার্তিক চন্দ্রের ছেলে দীপক কুমার ও দিলীপ কুমার, দীপক কুমারের স্ত্রী তৃষ্ণা রায়, রণজিৎ খাঁ’র ছেলে বাসু খাঁ ও উজ্জল খাঁ, উজ্জল খাঁ’র স্ত্রী মিতা রায় ও মেয়ে একা খাঁ এবং দীপক কুমারের ছেলে পার্থ কুমার।

মামলায় অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য আবদার হোসেন উল্লেখ করেছেন, ৪৯ নম্বর মৌজার ৭৮৫ এসএ  খতিয়ানে ২৭ শতক জমি রয়েছে। এর মধ্যে ২০ শতক জমি ভুলবশত অজিত দত্ত, দেবেন, কার্তিক, আবুল হোসেন, ও রমেশ গংদের নামে রেকর্ড হয়ে যায়। সংশোধনীর জন্য আবদার হোসেনের চাচা আব্দুল খালেক আদালতে দেওয়ানি মামলা করেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি  ওই সংশোধনীর মামলার রায় ঘোষিত হয়। এরপর গত ১০ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতের আদেশ জারির জন্য জারিকারক ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম এবং মামলার বাদীপক্ষসহ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ওই জমিতে যান। এ সময় উল্লিখিত আসামিরা গাছিদা, লোহার রড ও শাবল ইত্যাদি নিয়ে জারিকারকসহ অন্যদের ওপর চড়াও হন। এর মধ্যে আসামি আব্দুল মান্নান সাফ জানিয়ে দেনÑ তারা জায়গা ছেড়ে দেবেন না। তাদেরকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা নতুবা ৬ শতক জমি দিতে হবে। আবদার হোসেন ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলামসহ অন্যরা তাদের চাঁদা ও জমি দিতে অস্বীকার করলে তারা গালিগালাজ করেন। গলায় গাছিদা ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিলে আবদার হোসেন প্রাণভয়ে তাদেরকে কাছে থাকা ২ লাখ টাকা দেন।  এ ছাড়া আসামিরা বাদীপক্ষকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত