আবুল বারাকাত : যশোর সদর উপজেলাধীন আরবপুর ইউনিয়নের ধর্মতলা (বউ বাজার) এলাকায় ইদ্রিস আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া চায়ের দোকানদার গফফার তার নিজ ছোট মেয়েকে ধর্ষন করেছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় গফফারের স্ত্রী ও বড় মেয়ে বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ধর্ষক গফফার পেশায় চায়ের দোকানদার। ধর্মতলা শিশু আদদীনের সামনে তার একটি একটি চায়ের দোকান রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক গফফার দীর্ঘদিন ধরে তার কনিষ্ঠ কন্যা রিমা (২০) কে শারীরিক ভাবে যৌন নির্যাতন করতো। রিমির একটি সন্তান রয়েছে। কিছুদিন আগে পারিবারিক কহলে রিমির সংসার ভেঙে যায়। এর পর থেকেই রিমি তার সন্তানকে সাথে নিয়ে বাবার বাড়ি থাকতেন। একপর্যায়ে রিমি নিজেই তার বাবার যৌন চাহিদার স্বীকার হলে নিজের বড় বোন রিজিয়া কে পুরো ঘটনাটি জানানোর পর রিজিয়া তার মায়ের সাথে কথা বলে বাবা গফফার কে আইনের আওতায় আনতে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলা টি রেকর্ড হওয়ার পর পুলিশ ধর্ষক গফফার কে আটক করেন। ধর্ষক গফফারের স্থানীয় বাড়ি মোড়লগঞ্জ।
রিমি অভিযোগ করে বলে, তার দিনমজুর পিতা গফফার জোরপূর্বক তাকে যৌন হয়রানি করে। অনেক কাকুতি-মিনতি করলেও ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারিনি। আমি অনেকটা বাধ্য হয়ে ঘটনাটি আমার বোনকে জানিয়েছি।
ইতিমধ্যে গফফারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। গ্রেফতার পরবর্তী তাকে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রশাসন। গফফারের স্ত্রী, পরিবার সহ এলাকাবাসী সকলেই ধর্ষক গফফারের উপযুক্ত শাস্তির দাবী করছে।