আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:১৯

আরবপুরে শহীদের আধিপত্য বিস্তারের জেরে যুবক যখম || মামলা।

বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার আরবপুরে আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সাবেক ইউপি সদস্য ও যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিদুজ্জামান শহীদ। রাজনৈতিক ভাবে নিজের অবস্থান পাকাপক্ত করতে নানা বিশৃঙ্খল কর্মকান্ডের জন্ম দিচ্ছেন তিনি।

নিজস্ব কোন পেশা বা আয়ের উৎস না থাকায় মাদক ব্যবসা, শালিসি হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ অবৈধ ভাবে উত্তোলন ও বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থের জোগান দিয়ে আসছিলেন শহীদ।

সন্ত্রাসীদের গডফাদার শহীদের গং

ইতিমধ্যেই নিজের বাহিনী ও তাঁর অবস্থান জানান দিতে গেল রবিবার দুপুরে বালিয়া ভেকুটিয়ার আমানত বিশ্বাসের ছেলে রুবেল হোসেন (২২) কে মাথায় কুপিয়ে ও অস্ত্রের বাট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে একই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি মামুন, মৃত মঙ্গলের ছেলে সন্ত্রাসী শামিরুল, ফজলুর রহমানের ছেলে পিচ্ছি বাবু, ও মশিয়ার রহমানের ছেলে সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি মফিজুর।

আরবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম মাদক সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে যুব সমাজ কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালে আক্রান্ত রুবেল সহ তাঁর নেতৃত্বে এলাকার যুবকরা রাত্রে এলাকায় পাহারা বসিয়ে কয়েকবার মাদক সহ কারবারিদের ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশে দিয়েছেন।

সর্বশেষ গেল ১২ এপ্রিল সন্ত্রাসী মাদকারবারি মামুন ও শামিরুলের ৮৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তর করে চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, এই ফেনসিডিল উদ্ধারে রুবেলের অন্যতম ভূমিকা ছিলো।

সেই জেরেই রুবেল কে হত্যাচেষ্টা চালায় উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা। রুবেলের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা তাঁকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় রুবেলের পরিবারের পক্ষ থেকে মামুন, শামিরুল, পিচ্ছি বাবু, ও মফিজুর কে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে মামলা করতে গেলে থানায় আগে থেকে অবস্থান নেয় শহীদ। কিন্তু থানায় কোন কূল কিনারা করতে না পেরে রুবেলের সহপাঠী সোহেল কে এলাকায় গিয়ে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় শহীদ।

উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা মাদক ব্যবসা, ভূ গর্ভ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং চাঁদাবাজি করে। এরা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসীদের গডফাদার শহীদের পৃষ্ঠপোষকতায় লালিত হচ্ছে।

এদিকে রুবেল হতাহতের পর বালিয়া ভেকুটিয়ায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রায়ই অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে পিচ্চি বাবু, মামুন ও শামিরুলরা।এ ব্যাপারে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

গেল ৬ ই বৈশাখ ফরিদপুর বাজারে চাঁদা চাইতে গেলে নাইট গার্ড আইয়ুব আলী বাঁধা দিলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে গুলি করে পিচ্চি বাবু। ভাগ্যের সংঘ থাকায় সে দিন প্রাণে বেঁচে যান আইয়ুব আলী ….. অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বিস্তারিত আসছে

আরো সংবাদ