পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছে। দাওয়াতে আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশীরা এসেছেন। ইতিমধ্যে বরযাত্রীও উপস্থিত হয়েছেন। শুরু হয়েছে বিয়ে পড়ানোর আনুষ্ঠানিকতা। এ সময় কনের মতামত জানতে চাওয়া হলে বাবার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চান। একপর্যায়ে সবাইকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বাবার গলায় ছুরি চালান মেয়ে।
এমন ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালুকইসাদ দারারপাড় গ্রামে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম ফজল হক (৫০)। তিনি রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফজল হক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নৌবাহিনীতে কর্মরত এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন ফজল হক। শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত তারিখে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের দাওয়াতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা উপস্থিত হন। বরযাত্রীও আসেন সন্ধ্যা ৭টার দিকে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিয়ে পড়ানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কনে বিয়েতে রাজি কি না জানতে তার রুমে যান বিয়ের উকিলসহ প্রতিনিধিরা। কিন্তু কনে কোনো মতামত না জানিয়ে বাবার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চান। এ সময় বাবা ফজল হককে রেখে বিয়ের উকিলসহ সবাই রুমের বাইরে চলে যান। পরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে বাবা ফজল হকের গলায় ছুরিকাঘাত করেন মেয়ে।
বিয়েতে উপস্থিত লোকজন আহত ফজল হককে দ্রুত উদ্ধার করে বরযাত্রী বহনকারী মাইক্রোবাসে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বলেন, মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের আয়োজন করায় বাবাকে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় কনে, তার দুই ভাই-বোন ও এক মামাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।