যশোর প্রতিনিধি : যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সকালে আদালতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল ইসলামের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আফজাল হোসেনের বিরূদ্ধে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা মোশারেফকে গুলি করে হত্যা করেছিল। এ ঘটনায় পরের দিন নিহতের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি এক পর্যায়ে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। তদন্ত শেষে সিআইডির পরিদর্শক (ওসি) আমিনুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনসহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে গতমাসে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। আজ সকালে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসেন আফজাল হোসেন।
আফজাল হোসেন ষড়যন্ত্রের স্বীকার বলছেন দলীয় নেতা কর্মীরা
আফজাল হোসেন জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।১ ও ৭০/৮০’র দশকের যুবলীগ নেতা ও ১৯৭৫ সালের পর, জীবনের মায়া ত্যাগ করে আজও তার আওয়ামীলীগের প্রতি অকুন্ঠ ভালোবাসা, সেই আদর্শিক নেতা বর্তমান ইছালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম আফজাল হোসেন ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে তাঁরই গ্রামের বাল্যবন্ধু প্রয়াত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন( টেবলেট মোশারেফ) হত্যা মালার হাজিরা দিয়ে জামিন নিতে যান। আশির দশকে বহুল প্রচারিত যশোরের “দৈনিক রানার” পত্রিকার ষড়যন্ত্রের স্বীকারে বঙ্গসেনা হয়ে যান। তাকে আঞ্চলিক নেতা বানিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপকতর অপ-প্রচারের স্বীকারে একাধিক মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে কারা বরনও করেন আফজাল হোসেন।