প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শুক্রবার এই আদেশ দেন। এমডির পাশাপাশি রাসেল ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদেও আছেন। আর তাঁর স্ত্রী শামীমা ইভ্যালির চেয়ারম্যান।
আজ বেলা দুইটার দিকে রাসেল ও শামীমাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেল ও শামীমাকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছিল পুলিশ।
আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে রাসেল ও শামীমাকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমাকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন শেষে আজ রাসেল ও শামীমাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গত বুধবার গভীর রাতে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন।
আজ র্যাব জানায়, ইভ্যালির কারসাজির মূল হোতা রাসেল। স্ত্রী শামীমা তাঁর অন্যতম সহযোগী। গ্রেপ্তারের পর কোম্পানির দায় ও দেনা সম্পর্কে তাঁদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছেন, গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের কাছে ইভ্যালির দেনা বেড়ে ১ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে।
র্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানান, গত ফেব্রুয়ারিতেও এই দেনার পরিমাণ ছিল ৪০৩ কোটি টাকা। গ্রাহকের টাকা কীভাবে ফেরত দেওয়া হবে, র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি রাসেল। সর্বশেষ দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।