আজ - রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:৫১

ইমামের টাকা তোলা ও কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ২

সিরাজগঞ্জে ঈদগাহ মাঠের কমিটি গঠন ও মসজিদে ইমামের টাকা তোলা নিয়ে পৃথক সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্ততসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ছয় জন।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) শাহজাদপুর উপজেলা ও উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন—শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে বিপ্লব হোসেন (৪২) এবং সলঙ্গা থানার চক মনোহরপুর গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম (৫৫)। আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আটককৃতরা হলো-সলঙ্গা থানার চক মনোহরপুর গ্রামের ইউসুফ আলী (৫৪), শাহজাদপুরের হরিরামপুর গ্রামের আল-আমিন (৩৪), আনোয়ার হোসেন (৪৫), মোতাহারুল হক (৬৫), হাবিবুল হক হারুন (৩৫), আব্দুস সাত্তার খান (৪৫) ও সাকিল হোসেন সরকার (২৩)।

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে চক মনোহরপুর মধ্যপাড়া জামে মসজিদে ইমামের বেতনের টাকা তোলা নিয়ে আলোচনা চলছিল। এ সময় মসজিদ কমিটির সভাপতি ইউসুফ আলীর বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট ওয়াজেদ আলী সরকারের সঙ্গে খোরশেদ আলমের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মসজিদের বাইরে এসে ইউসুফ আলী ও তার লোকজন খোরশেদকে মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বগুড়া শজিমেকে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে শাহজাদপুরের হরিরামপুর গ্রামবাসী জানান, শুক্রবার বিকালে ঈদগাহ মাঠের কমিটি গঠন নিয়ে লুৎফর রহমান ও আকমল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাত জন আহত হন। তাদের মধ্যে বিপ্লব হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার মধ্যরাতে মারা যান বিপ্লব।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ খান বলেন, ঈদগাহ মাঠের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিপ্লব হোসেন মারা গেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে

আরো সংবাদ