আজ - বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৮:২২

ঈগল যেভাবে বাড়িয়ে দিলো বিজ্ঞানীর ফোন বিল!

রাশিয়ার একজন বিজ্ঞানী ঈগল পাখি নিয়ে গবেষণা করেন।

এই গবেষণার কারণে ফোন বিল দিতে গিয়ে রীতিমতো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো তার।

গবেষণায় তিনি মোট ১৩ টি ঈগল পাখির পায়ে তাদের গতিপথ দেখার জন্য ‘ট্র্যাকিং ডিভাইস’ বসিয়েছিলেন।

যে ডিভাইস তার মোবাইল ফোনে টেক্সট মেসেজ পাঠায়।

রাশিয়া ও কাজাখস্থান থেকে পাখিগুলোর গতিপথের উপর নজর রাখা শুরু করেন তিনি।

কিন্তু মুশকিল হল পরিযায়ী এই ঈগল পাখিগুলোর মধ্যে একটি নারী ঈগল শুধু রাশিয়া ও কাজাখস্থানের সীমান্ত পর্যন্ত উড়েই ক্ষান্ত হয়নি।

সে সুদূর আফগানিস্তান ও ইরান পর্যন্ত ভ্রমণ করেছে। বাকি সবগুলোর বিলসহ তাতেই বিপদে পড়েছেন বিজ্ঞানী।

দেশের ভেতরে ফোন বিল একরকম। কিন্তু দেশের বাইরে গেলেই রোমিং চার্জ আরোপ করে বিশ্বের সব মোবাইল ফোন কোম্পানি।

কাজাখস্থানে এসএমএস খরচ হিসেবে দিতে হয় ২ থেকে ১৫ রুবল পর্যন্ত। কিন্তু ইরান থেকে রোমিং চার্জসহ সেটি গিয়ে দাড়ায় ৪৯ রুবল।

‘ওয়াইল্ড অ্যানিমল রিহ্যাবিলেটশন সেন্টার’ নামের স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার এই বিজ্ঞানী ও তার সঙ্গীরা আর কোন উপায় অন্তর না দেখে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন।

সেখান থেকে এক লাখ রুবল পর্যন্ত অর্থ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লোকজন এই ক্যাম্পেইনের নাম দিয়েছে ‘টপ আপ দ্যা ঈগল মোবাইল’।

তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে ফোন কোম্পানি ‘মেগাফোন’।

তারা প্রথমত যে বিল তৈরি হয়েছে তা মওকুফ করার ঘোষণা দিয়েছে এবং বিজ্ঞানীদের প্রকল্পের ভবিষ্যৎ বিল কম খরচে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।

‘স্টেপ’ প্রজাতির এই ঈগল পাখি মূলত রাশিয়া ও মধ্য এশিয়াতে পাওয়া যায়। তবে বিদ্যুতের তারের কারণে তারা ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে।

এই ঈগল সাইবেরিয়া ও কাজাখস্থানে বংশ বিস্তার করে এবং শীতের মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার দিকে উড়ে আসে।

শুধু একটি পাখির কারণে যদি এমন পকেট খালি হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় তাহলে ১৩টি পাখি যদি ইরান গিয়ে পৌঁছুত তাহলে কী ঘটতো সেটি ভেবে দেখুন তো।

আরো সংবাদ