আজ - শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৪:৩৬

উপজেলা চেয়ারম্যান মুন্নির ৬ বছরের কারাদণ্ড!

যশোর প্রতিনিধি – মিথ্যা তথ্য ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ঢাকার সপ্তম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ৬ বছর দণ্ডের মধ্যে দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ সালের ২৬ (২) ধারায় তিন বছর ও ২৭ (১) ধারায় তিন বছরের ওই কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে জ্ঞাত আয় বহির্ভুতভাবে অর্জিত এক কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এছাড়া দুই মামলায় পাঁচ হাজার টাকা করে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দুই ধারায় সাজা এক সাথে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সাবিরা সুলতানা পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন সাবিরা সুলতানাকে সম্পদের বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেন। ২০০৯ সালের ২৪ মে তিনি সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। বিবরণীতে ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকা সম্পদের বিষয় ভিত্তিহীন বলে অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়াও তিনি ৪৫ লাখ টাকার সম্পদের মিথ্যা তথ্য প্রদানসহ ১ কোটি ৭৮ লাখ ১৩৫ টাকার সম্পত্তি অসাধুভাবে অর্জন করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়।

এ ঘটনায় ২০১০ সালের ২০ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আহমেদ রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পাঁচ দিন পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা করেন। মামলায় ৯ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৮ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

আরো সংবাদ