আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৬:৪৭

উপশহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছাপ্পানের লাশ নড়াইলে উদ্ধার!

স্টাফ রিপোর্টার।। যশোর উপশহর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক সজীব হোসেন সুজনকে গুলি করে হত্যা প্রচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি সন্ত্রাসী ইমরান খান ছাপ্পান ওরফে বিহারী ছাপ্পানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নড়াইল-যশোর সড়কের তুলারামপুর ব্রিজ এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে ছাপ্পানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সিতারমপুর ব্রিজ এলাকায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

মৃত ছাপ্পান

সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ জানান, ‘কোথায়, কিভাবে মারা হয়েছে তা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

তবে পরিবারের দাবি সোমবার রাতে ছাপ্পানকে নিজ এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ । তবে আটকের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তিনি উপশহর বি-ব্লকের মৃত ওমর আলী মাস্টারের ছেলে এবং যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহম্মেদের পোষ্য ক্যাডার। ছাপ্পান চলাফেরা করত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাসান মিন্টুর সাথে, তাঁর অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সকল নিয়ন্ত্রণ ছিল ছাপ্পানের হাতে

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার সময় উপশহর সংলগ্ন বাবলাতলায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব হোসেন সুজনকে গুলি করে এবং ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করে ছাপ্পান ও তার সহযোগি সন্ত্রাসীরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সজীব হোসেন সুজনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আহত সুজনের পিতা আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে ইমরান খান ওরফে বিহারী ছাপ্পানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলো, বিহারী ছাপ্পানের ছেলে লিমু, উপশহর ডি-ব্লকের মনু মিয়া ওরফে মনু মিস্ত্রির ছেলে আসাদুজ্জামান নান্নু, বি-ব্লকের মোন্তাজের ছেলে লাভলু, তার ছেলে তুহিন এবং পারভেজ আলমের ছেলে পিয়াস।


মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ‘তার ছেলে সুজন উপশহর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক। অপরদিকে আসামিরা এলাকার অবৈধ অস্ত্রধারী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। সুজন তাদের ওই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়ার কারণে তাকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর গভীর রাত একটার দিকে সুজন বাবলাতলায় বন্ধুদের সাথে পিকনিক শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে উপশহরস্থ মরহুম মনিরুল ইসলাম তুহিনের বাড়ির সামনে পৌঁছালে ওই সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পিস্তল, ছোরা ও লোহর রড নিয়ে তার ওপর আক্রমণ করেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত, লোহার রড দিয়ে মারধর ও পিস্তল দিয়ে গুলি চালিয়ে আহত করেন। আসামি বিহারী ছাপ্পান তাকে গুলি করেন। পরে সুজনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন সুজনকে উদ্ধার করেন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

আরো সংবাদ