নওগাঁর ধামইরহাটে লোন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ভূয়া এনজিওর একটি প্রতারক চক্র। ১ লক্ষ টাকা ঋণের বিপরীতে সঞ্চয় হিসেবে বেশ কয়েকজনের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা করে জমা নিয়ে উধাও হয়েছে ‘আকিস’ নামের একটি ভূয়া এনজিও। এ বিষয়ে ধামইরহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধামইরহাট পৌর সদরের টিএন্ডটি মোড়স্থ্য হানিফের বাসায় এনজিওর অফিসের ঠিকানা দিয়ে এনজিও আকিস নাম পরিচয় দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঋণ দেওয়ার নামে সঞ্চয় বাবদ টাকা উত্তোলন করে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারী উপজেলার অমরপুর (শাখাইপুর) গ্রামের ভুক্তভোগী আসমা খাতুন, আফরুজা, হোসনেআরা, শাহিনা জাহাঙ্গীর আলম, জান্নাতুন ও মাহবুবসহ ৭ জনের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা করে সঞ্চয়ের নাম করে গ্রহণ তাদের আশ্বাস প্রদান করে যে, আগামীকাল আপনাদের টাকা দেব। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে টিএন্ডটি মোড়ে অফিস দেখিয়ে পরদিন আসতে বলে। ৩১ জানুয়ারী বেলা ১১ টায় সঞ্চয় প্রদানকারীরা ঋণ নিতে আসলে অফিস বন্ধ দেখতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় একটি ডেকোরেটরের থেকে খলিল নামে একজন ব্যক্তি টিএন্ডটি মোড়ের ২০টি চেয়ার ও ৪টি টেবিল ডিসেম্বর মাসে ভাড়ায় নিয়েছিল। ঘটনার বিষয়টি জানাতে দ্রুত গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট ছুটে আসলে উপজেলা প্রেস ক্লাবের একদল সাংবাদিক ঘটনাস্থলে আসলে মালাহার গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, আমার গ্রাম থেকে ৭ জনের নিকট থেকে ৫২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে, তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। টিএন্ডটি মোড়স্থ্য পলাশ হোসেন জানান, আমাকে ১ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় চেয়েছিল, কিন্তু আমি দেইনি, আর একদিনের মাথায় দেখছি সেই এনজিও উধাও।
ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ‘প্রতারকরা মুখোরোচক ও লোভনীয় আশ্বাস দিয়ে মানুষকে এই ভাবেই প্রতারিত করে থাকে, সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও সচেতন ও সতর্ক থাকা জরুরী, অভিযোগটি খতিয়ে দেখে সম্ভব সকল প্রকার আইনী সহযোগিতা ভুক্তভোগীদের করা হবে।’ #
ধামইরহাটে শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ বুলবুলকে কুপিয়ে জখম করলো প্রতিপক্ষরা
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি হারুনুর রশীদ বুলবুলকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কর্ণাই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের কর্ণাই গ্রামের আব্বাস আলী মন্ডলের ছেলে হারুনুর রশীদ বুলবুল গ্রামের বাড়ীতে খলিয়ানে মৃত বড় ভাই আবু হায়াত হেলালের দোয়া মাহফিলের জন্য পরিস্কারকরাকালে সামনে দিয়ে রাস্তা পার হলে ভুক্তভোগী বুলবুল প্রতিপক্ষ মতিয়ার রহমান মন্টুর ছেলে আল মুমিনকে একটু খলিয়ানের সাইট দিয়ে যেতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে পশুকুড়াল দিয়ে মাখায় স্বজোরে কোপ মারে আউয়াল। এ সময় মতিয়ার রহমান মন্টু ও তার ছেলে আল মুমিন, সফিউর রহমানের ছেলে সিয়ামসহ ৪ জন বুলবুলকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুত্বর অবস্থায় ধামইরহাট হাসপাতালে নিলে জখমীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক জখমী বুলবুলকে শজিমেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। জখমীর ভাই ফারুক হোসেন জানান, আমার ভাইয়ের অবস্থা না বাচাঁ, এখনও অজ্ঞান হয়ে আছেন, জানিনা কি হবে। এ বিষয়ে জখমীর বাবা আব্বাস আলী মন্ডল বাড়ী হয়ে ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে হামলাকারী আল মুমিন ০১৭৫১২৭৫৮১৮ এর সাথেমুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের রাস্তা দিয়ে যেতে বুলবুল বাধা দেওয়ায় বাকবিতন্ডা হয়, ধাক্কাধাক্কি হয়, সে পড়ে গিয়ে জখম হতে পারে বলে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।’
ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী জানান, ‘ অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ধামইরহাট উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি সহিদুল ইসলাম জানান, আমরা উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতির উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং হামলাকারীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করছি। #