ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বামী ও স্ত্রী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
তারা হলেন- হরিপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ফারুক মিয়া ও তার স্ত্রী ইউনিয়ন মহিলা আ.লীগের সভাপতি শিরিন আক্তার। তারা একই ইউনিয়ন থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া ১৩ ইউনিয়নের সাতটিতে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন এবং ১৩ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী ১২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন-
নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আহাদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিজ মিয়া ও আওয়ামী লীগ নেতা মুখলেছুর রহমান।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন- কুন্ডা ইউনিয়নে নাদিম হোসেন মামুন, পূর্বভাগ ইউনিয়নে মো. আলম উদ্দিন, মো. জাহের মিয়া ও মো. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া। হরিপুর ইউনিয়নের ফারুক মিয়া ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তার। গুনিয়াউক ইউনিয়নের সৈয়দ মোস্তাক আহমদ। চাপরতলা ইউনিয়নের মো. আব্দুল আহাদ ও কামরুজ্জামান।
গোয়ালনগর ইউনিয়নের মো. আজহারুল হক ও মো. কাপ্তান মিয়া। ভলাকুট ইউনিয়নের মো. শাহ আলম ও মো. আরাফাত আলী। চাতলপাড় ইউনিয়নের মীর হোসেন ও মো. রফিকুল ইসলাম।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে সাত, বুড়িশ্বর থেকে তিন, কুন্ডা পাঁচ, পূর্বভাগ সাত, হরিপুর পাঁচ, গোয়ালনগর তিন, ভলাকুট চার, ধরমণ্ডল, চার, ফান্দাউক চার, চাপরতলা ছয়, গুনিয়াউক চার, গোকর্ণ সাত এবং চাতলপাড় ছয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টির সাত, ইসলামি আন্দোলন পাঁচ এবং জাকের পার্টির এক মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ১৩ ইউনিয়নে সাধারণ পদে ৫০৯ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭০ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিযেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ তারিখ ২৬ অক্টোবর। এর পর আওয়ামী লীগের যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করবে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
বিএনপি নির্বাচনে না এলেও নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির অনেক নেতাই অংশ নিচ্ছেন।
প্রার্থীদের নামের তালিকা হলো- হাসানুর রহমান উপজেলা জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বুড়িশ্বর ইউনিয়ন থেকে মো. ইকবাল চৌধুরী (উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি), কুন্ডা ইউনিয়ন থেকে ওমরাহ খান(উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি), ধরমণ্ডল ইউনিয়ন থেকে সফিকুল ইসলাম (ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক), ফান্দাউক ইউনিয়ন থেকে মো. সফিকুল ইসলাম (ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক) গোকর্ণ ইউনিয়ন থেকে শামসুল আরিফিন (উপজেলা বিএনপির যুবদল কর্মী), পূর্বভাগ ইউনিয়ন থেকে মোহাম্মদ হোসেন (উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি), হরিপুর ইউনিয়ন থেকে মো. জামাল মিয়া (উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি), গুনিয়াউক ইউনিয়ন থেকে মো. শামসুল হক (উপজেলা বিএনপির সদস্য), চাপরতলা ইউনিয়ন থেকে ফয়েজ উদ্দিন ভূঁইয়া (উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি) ও ভলাকুট ইউনিয়ন থেকে মোজাম্মেল হক (উপজেলা বিএনপির কর্মী)।
নির্বাচন নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই। তাই আমাদের নির্বাচন করতে কোনো বাধা থাকার কথা নয়।
উল্লেখ্য আগামী ২১ অক্টোবর মনোনয়ন যাচাই-বাচাই করা হবে এবং ২৬ অক্টোবর প্রত্যাহার করার শেষ সময়। ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এরপর আগামী ১১ নভেম্বর নাসিরনগরে ১৩ ইউপিতে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।