যুদ্ধাপরাধ, নিরাপদ সড়ক, কোটা আন্দোলন, রোহিঙ্গার মতো ইস্যুতে খবর প্রচারের ক্ষেত্রেই আল-জাজিরার বস্তুনিষ্ঠতা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশকে হেয় করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে গণমাধ্যমটির বিরুদ্ধে। আবারও বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে নতুন এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে আল-জাজিরা।
সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক বাংলাদেশের যে কোনো আন্দোলন, ইস্যু ও সংকট নিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। রাজনৈতিক রং লাগিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করা কিংবা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের লক্ষ্য বলে মনে করেন অনেকে।বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবা দেওয়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি দল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে তাদের সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে। তবে এসবকিছুকে পাশ কাটিয়ে মিথ্যাচার করাটাই যেন আলজাজিরার কাজ।
এবার মিথ্যাচারের চাষ করা গণমাধ্যমটি রোহিঙ্গাদের কুৎসা রটাতে দ্বিধা করছে না। তারা এবার দাবি করছে ভাসানচরে ত্রাণ সংস্থাগুলো ওই দ্বীপের ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
তবে বাস্তবতা হলো, জাতিসংঘের কারিগরিদলও গত সপ্তাহে তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে ভাসানচর নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব জানিয়েছে। সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া ছিল সম্প্রতি ভাসানচর ঘুরে আসা পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতদেরও। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভাসানচর সরেজমিনে ঘুরে আসা জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারকে প্রাথমিক একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই প্রতিবেদন বেশ ইতিবাচক। ভাসানচর আশপাশের দ্বীপগুলোর চেয়েও নিরাপদ। একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ অনুযায়ী ওই দ্বীপে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সেটিকে আরো উন্নত ও উঁচু করার কাজ চলছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে, নোয়াখালীর ভাসানচরে, বরিশালে না অন্য কোথাও রাখলাম সেটি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দেখার বিষয় নয়। তাদের সঙ্গে আমাদের যে সমঝোতা, সেখানে বলা আছে বাংলাদেশে আশ্রিতদের সহায়তা দেবে। সেখানে কক্সবাজারের কথা লেখা নেই।’