স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিসার (এসআই) জামাল কে খুলনা রেঞ্জে বদলী করা হয়েছে। গেল বুধবার রাতে মহানগরীর আফাজনগরের বাসা ছেড়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। অনেকটা গোপনেই কাউকে কিছু না বলেই খুলনা চলে যাওয়ার ঘটনায় জেলা পুলিশের অনেকের মাঝেই সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সে গত মঙ্গলবার বদলী হওয়ার সিসি নিলেও গত বুধবার রাতে আফাজনগরস্থ বাসভবনের সামনে বাসার মালামাল উঠাতে দেখে অনেকেই জানতে পারে আর ওয়ান জামাল বদলী হয়ে গেছে খুলনা রেঞ্জে । তবে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত ধর্ষনের অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। জামালের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ পুলিশের হেড কোয়ার্টার মনিটরিং করছে বলেও নিশ্চিত করেন এই কর্মকর্তা।
এসআই জামাল পুলিশের চাকুরী নেয়ার আগে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মাটি কাটার কাজ, গাছ কাটার কাজসহ লেবারের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো ।পুলিশ বিভাগে চাকুরী নিয়ে নানা অপরাধ করে এখন সে কোটি কোটি টাকার মালিক। গ্রামের বাড়ীতে বহুতল ভবন ছাড়াও নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন জামাল। ভাড়াটে খুনি হিসেবে তাঁর বিশেষ পরিচিতিও রয়েছে। পুলিশ সুপারের দোহাই দিয়ে পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকেও টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরূদ্ধে ।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় যোগদান করেই আর ওয়ান জামাল সকল পুলিশ সদস্যদেরকে ফোন করে ডেকে নিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায়ে নইলে বদলীর ভয় দেখানো ছিলো নিত্যদিনের কাজ। পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জেলার দায়িত্বে থাকাবস্থায় এসব কর্মকান্ড করতেন পুলিশ লাইনে বসে। নারী পুলিশ সদস্যকে জিম্মি করে ধর্ষনের অভিযোগ সম্প্রতি আলোচিত হয়ে পড়লে তাঁকে খুলনা রেঞ্জে বদলী করে দেয়া হলো।
উথাপিত অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে আরওয়ান জামালের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র । এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের রিডার তানজিমের কাছে ফোন করলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি । তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের দায়িত্বরত অনেকেই বলেছেন, এসআই জামাল পুলিশ বাহিনী ও সরকারের দূর্নাম করছে । তার বিরেদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরী । এসআই (আর ওয়ান) জামাল পুলিশ বিভাগের জন্য কুৎসিত উদাহরণ।