এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ড থেকে এবার শতকরা ৯০ দশমিক ৮৮ ভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯শ’ ৪৮ জন। গতবার উত্তীর্ণের হার ছিল ৭৬ দশমিক ৬৪। তবে এবার সব বিভাগ থেকেই ফলাফল মেয়েরা ভাল করেছে।
রোববার বেলা ১২ টায় প্রেসক্লাবে যশোরে শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মধাব চন্দ্র রুদ্র এ ফলাফল জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিদর্শক এম কে রব্বানী, স্কুল পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহিন আহমেদ, উপ-পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) জাহাঙ্গীর কবির প্রমুখ।
যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে উর্ত্তীণ হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৮ জন। পাশের হার ৯০ দশমমিক ৮৮। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮১ হাজার ৬৩৭ জন ছাত্র ও ৮৪ হাজার ৫১ জন ছাত্রী। ছেলেদের পাশের হার ৮৯ দশমিক ৫৩ এবং মেয়েদের ৯২ দশমিক ২৪। গত বারের চেয়ে এবছর ১ হাজার ২ শ ৭৫ জন কম শিক্ষার্থী এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলেও পাশের হার গত বছরের চেয়ে এবছরে ১৪ দশমিক ২৪%বেশি। গত বছর এস এস সি পরীক্ষায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫ শ ৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছিল।
গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে এস এস সি পরীক্ষায় ১ হাজার ২ শ ৭৫ জন কম শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করলেও এবছর পাশের হার বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, এবছর নির্দেশনা ছিল নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ন না হলে কোন শিক্ষার্থীকে এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দেয়া হবে না। ফলে এই নির্দেশনা স্কুল গুলো যথাযথ ভাবে পালন করায় এবছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হলেও গত বছরের চেয়ে এবছর বেশি শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
এছাড়া ফলাফল ভাল হওয়ার আর একটি কারণ হচ্ছে যশোর বোর্ড যে প্রশ্ন ব্যংক করেছে। সেই প্রশ্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ম শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত যত গুলো অভ্যন্তরীন পরীক্ষা হয় সমস্ত প্রশ্ন পত্র যশোর বোর্ড সরবহ করে থাকে। সেজন্য বোর্ডের গুনগত ও মান সম্পন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়াতে শিক্ষার্থীরা অভ্যস্ত। সেই জন্য তাদের এই নির্বাচনী পরীক্ষা আর হচ্ছে প্রশ্ন ব্যাংক এই দুটোই নাসিং করা হয়েছে। দুটোর কারণে তারা দীর্ঘকাল ধরে বোর্ডের প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়ায় অভ্যস্ত থাকার কারণে এই বার তারা স্বাভাবিক ভাবে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করেছে।
তাছাড়া শিক্ষার্থীরা বলেছে এবার পরীক্ষার কোন পত্রে জটিল কোন প্রশ্ন না হওয়ায় পরীক্ষার ফলাফল ভাল গত বছরের চেয়ে এবছর ভাল হয়েছে।