খুলনা প্রতিনিধি : খুলনা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করার পর আজ (২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯) জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত, দোয়া মোনাজাত করেন নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এমাসের ১৫ তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক এ আহবায়ক কমিটি সাক্ষরিত হয়। সাক্ষরিত এ আহবায়ক কমিটির আহবায়ক হিসাবে মনোনীত হন খুলনার ছাত্ররাজনীতিতে জনপ্রিয় ও ক্লিন ইমেজ খ্যাত শফিকুর রহমান পলাস এবং যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে ছাত্রলীগের আর একজন ভদ্র বিনয়ী নেতা শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন।
এই কমিটির গঠনে খুলনার জনসাধারণের রাজনৈতিক অভিভাবক জননেতা শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ জুয়েল এমপি, শেখ সোহেল, শেখ রুবেল সহ সকলের ভুমিকা ছিল অতুলনীয়। এছাড়া খুলনার জনপ্রিয় মেয়র জননেতা তালুকদার আব্দুল খালেক, মাননীয় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বকগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি,আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান সহ খুলনার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সকলের সহোযোগিতায় এই কমিটি সাক্ষরিত হয়।
পঁচিশ (২৫) সদস্যে বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে আজ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি তে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত, দোয়া মোনাজাত করে এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গেস্ট হাউজে গোপালগঞ্জের বিখ্যাত লাউ শোলমাছ দেশি মুরগী কাঁচকলা দিয়ে ঝোল আমড়া ডাউল সহ পায়েস দিয়ে নেতা কর্মীদের মধ্যে খাবার পরিবেশন করা হয়। আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের আয়োজনে এই চমকপ্রদ খাবার পেয়ে যুবলীগের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ভাবে সকলে মিলে ভোজন করেছেন।
খুলনা থেকে বাস যোগে প্রায় এক হাজার নেতা কর্মীদের নিয়ে নবকমিটির আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়ক সহ পঁচিশ সদস্যের সকলে বাসে চড়ে সাধারণ কর্মীদের সাথেই টুঙ্গিপাড়ায় গমন করেন। প্রতিটি নেতা কর্মীদের মাঝে এক ধরনের ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে দেখা যায়।
এসময় যুবলীগ কর্মী ভুইয়া শাওন আহমেদ খান জাহান আলী 24/7 নিউজ কে জানান, “ বর্তমান কমিটির আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়ক অত্যান্ত আন্তরিক। ইচ্ছা করলেই তারা এসি প্যারেডো গাড়িতে যেতে পারতেন কিন্তু তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদর্শের যুবলীগ হতে চায়। তাদের এই সহজ সরল এবং সাদামাটা ভাবে একই গাড়িতে সবাই কে সাথে নিয়ে আসাটা একটা বড় পরিবর্তন বলে মনে করি।”
যুবলীগের আহবায়ক কমিটির আরেক সদস্য জনাব তাজুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন পর যুবলীগের কমিটির জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে ছিলাম সেই কমিটির প্রথম কর্মসূচি ছিল আজ। অসাধারণ সব পরিকল্পনা ও অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ভাবে সমস্ত কর্মসূচি সম্পর্ণ হচ্ছে এমন যুবলীগই আমরা চেয়েছিলাম।”
যুবলীগের আর এক নেতা শেখ রাজু আহমেদ বলেন, “এক নতুন যুবলীগের যাত্রা শুরু হলো। আগামী তে এর ইতিবাচক প্রতিফলন আপনারা দেখতে পাবেন।”
যুবলীগের নব গঠিত আহবায়ক জনাব শফিকুর রহমান পলাস ভাই বলেন, “এমন একটা সময় আমরা কমিটি পেয়েছি যখন সারাদেশের মিডিয়ায় যুবলীগ নিয়ে নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হচ্ছে। কিন্তু দেশের বহু ক্রান্তিলগ্নে এই যুবলীগের অনেক সাহসী ভূমিকার প্রমাণ আছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের কাছে যা প্রত্যাশা করেন তার সুন্দর একটা প্রতিফলন ঘটাতে। তরুণ প্রজন্মের পরিছন্ন দলের জন্য নিবেদিত ছেলেদের নিয়ে সিনিয়র জুনিয়রদের সমন্বয়ে একটা সুন্দর যুবলীগ আপনাদের সামনে দাড় করাবো ইনশাআল্লাহ।”
টুঙ্গিপাড়ায় মুষলধারে বৃষ্টির মাঝেও শত শত যুবক তরুণদের মাঝে এক ধরনের উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনের দিকনির্দেশনায় অসাধারণ সব খাবার খেয়ে সকলে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি।
আজকের শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান, কামরুল ইসলাম,কাদের শেখ,আবুল হোসেন, কাজি কামাল হোসেন,সওকত হোসেন,মোহাম্মদ হোসেন,অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, তাজুল ইসলাম, কবির পাঠান,মোস্তফা শিকদার,ইব্রাহিম মার্শাল, মেহেদী মোড়ল, মশিউর রহমান সুমন, রাশেদুল হাসান,সহ প্রমূখ।