আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১২:২৭

কচুয়ায় নিহত নিতাই পালের পরিবারের পাশে আ’লীগ নেতা পলাশ।


মুনতাসির মামুন।।  যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রাময়নিক গ্রামের নিহত নিতাই পালের অসহায়  পরিবারের পাশে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী পলাশ। 
গেল ১৮ ই এপ্রিল প্রতিবেশির শাবলের আঘাতে নিহত হন নিতাই পাল।   নিতাই নিহত হওয়ায় পর নিতাইয়ের পরিবারটি হটাৎ করে চরম অসহায় হয়ে পড়ে। অভিভাবক শূণ্য একটি পরিবারের মর্মজ্বালা অনুভব করেন পলাশ। 


সেই উপলব্ধি থেকে আজ শনিবার সকালে ৩০ কেজি চাউল, ৫ কেজি আলু, ৩ কেজি সয়াবিন, ২ কেজি পিঁয়াজ, সাবান, হুইল পাউডার সহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নিয়ে নিতাইয়ের বাড়ীতে হাজির হন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী পলাশ।  


এসময় উপস্থিত ছিলেন রবিউল ইসলাম কুটি, খবির উদ্দিন, হারুন অর রশিদ মাষ্টার,বাবলু হোসেন,বাপ্পি দাস, মফিজুর খান, ইমরান হোসেন প্রমুখ। 


নিতাইপাল যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কচুয়ার রায়মানিক গ্রামের মৃত হরিপদ পালের ছেলে।   নিহতের ভাই গৌরাঙ্গ পাল জানান, প্রতিবেশী রতন পালের ছেলে সুখদেব পাল তাদের লেবু গাছ কেটে ফেলে। এসময় গৌরাঙ্গ পাল তাদের কাছে লেবু গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে সুখদেব পাল, রতন পাল, প্রদীপ পাল, জয়দেব পাল তাদের ওপর লাঠিসোটা ও শাবল নিয়ে হামলা চালায়। নিতাই পালের মেয়ে চন্দনা পাল (১৪) ঠেকাতে আসে। এসময় তারা শাবল দিয়ে নিতাই পালের মাথায় এবং চন্দনা পালের পিঠে ও মাথায় আঘাত করে। তারা দুইজনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।  স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যা  সাড়ে ৬টায় স্থানীয়রা নিতাই পাল ও চন্দনা পালকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাক্তার রিফাত সিকদার নিতাই পালকে মৃত ঘোষণা করেন।      

আরো সংবাদ