এই হ্যালো। আলোচিত একটি ডায়ালগ। সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই হ্যালোর মাধ্যমে। প্রথম দিকে শুধু গানের শিল্পী হিসাবে পরিচিত পেলেও এখন একজন নাট্য অভিনেতা, পরিচালক ও বক্তা হিসেবে পরিচিত কবির বিন সামাদ।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তি চেয়ে গান গেয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন তিনি। পরে বহুবার সরকার বিরোধি কন্টেন্ট তৈরী করে ইউটিউবে সস্তা জনপ্রিয়তার মালিক হয়েছে তিনি।
জানা যায়, কবির বিন সামাদ কৌতুক অভিনেতাদের মত নিজেকে উপস্থাপন করতে পছন্দ করে। তবে বর্তমানে তিনি অতি উৎসাহী কিছু ধর্ম ব্যবসায়ীদের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইসলামিক বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন। তাছাড়াও ইউটিউব চ্যানেলের নাম ভাঙিয়ে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে উপস্থাপন করেন তিনি।
সম্প্রতি, চৌগাছায় একটি ইটভাটায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে তাকে। ঠিকানা টিভির মালিক পরিচয়ে ঐ ইট ভাটা থেকে দুই ট্রাক ইট ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
কবির বিন সামাদ ঝিকরগাছা গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের নবগ্রামের মৃত আব্দুস সামাদ মেম্বরের ছেলে। ইউপি সদস্য হিসেবে তার বাবা একজন বিতকির্ ত মানুষ ছিলেন। গম চুরির অপবাদসহ সক্রিয়ভাবে স্বাধীণতার বিপক্ষের শক্তির মানুষ ছিলেন তিনি।
জানা যায়, কবির বিন সামাদের সঙ্গে সাঈদী পুত্র মাসুদ সাঈদীর সখ্যতা রয়েছে। কবির বিন সামাদের ফেসবুক আইডিতে বিতর্কিত বক্তা আমীর হামজার সাথে ঘনিষ্টতার প্রমাণ মেলে।
সরকারবিরোধী কন্টেন্ট তৈরী করে ইউটিউবে একশ্রেণির মানুষের কাছে সে বেশ জনপ্রীয়। সমালোচনার নাম করে অতি সুক্ষ্ম মস্তিস্কে দেশবিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে এই কবির বিন সামাদ।
তবে চৌগাছায় ইটভাটায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ইট ছিনতাইয়ের পরেও কোন অদৃশ্য শক্তিবলে তার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। শিঘ্রই সাংবাদিক পরিচয়ধারী এই কবির বিন সামাদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তারা।