আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৬:২১

করোনা : যশোরে একদিনে ‘ছাড়পত্র’ পেলেন ২১ জন

স্টাফ রিপোর্টার।। যশোরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিরা ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আজ সোমবার একদিনে ২০ জনকে ‘করোনামুক্ত’ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এনিয়ে এই জেলায় মোট ২৫ জনকে করোনামুক্তির ছাড়পত্র দেওয়া হলো।
এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার একজনকে যশোর থেকে আজ ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাকে হিসেবে রাখলে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগের ছাড়পত্র মেলা করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২৬।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী পরপর তিনবার বা চারবার নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে তাদের ‘করোনামুক্ত’ বলে ধরে নেওয়া যায়। এমন ফলাফল আসা ২১ ব্যক্তিকে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের হাতে ছাড়পত্রের পাশাপাশি শুভেচ্ছার নিদর্শনস্বরূপ ফুলও তুলে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলায় ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা তিনবার করে ল্যাবে পরীক্ষা শেষে সবকটিত নেগেটিভ আসার কারণে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
ছাড়পত্র পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন যশোর জেলার প্রথম করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হওয়া মণিরামপুর উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মী রবিউল ইসলাম। ছাড়পত্র পেয়েছেন যশোর শহরের পোস্ট অফিসপাড়া এলাকার বাসিন্দা লোকসমাজের মফস্বল সম্পাদক সিদ্দিক হোসেন (৬২) ও নূর ই আলম (৫৬)।
এছাড়া কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন সেখানে কর্মরত ডাক্তার জাহিদুর রহমান, ডা. প্রদীপ চৌধুরী, স্বাস্থ্য সহকারী ওয়াহেদুজ্জামান, স্বাস্থ্যকর্মী সনজিৎকুমার বিশ্বাস, আশিকুর রহমান, ল্যাব টেকনিশিয়ান নাজমুল করিম। আরো ছাড়পত্র নিয়েছেন বকুল (২২), ফিরোজ আলম রিপন (৩৮), আমিরুল ইসলাম (৫৩) এবং মনছুর হোসেন (৪০)।
চৌগাছা উপজেলায় ছাড়পত্র পাওয়ারা হলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স রোকেয়া পারভীন ও হাফিজা পারভীন এবং এবং আরেক নারী শিমুল আক্তার।
বাঘারপাড়া উপজেলা থেকে আব্দুল মান্নান (২৫), ঝিকরগাছা উপজেলা থেকে শামছুর রহমান (৬০), শার্শা থেকে জাহাঙ্গীর হোসেন ছাড়পত্র পেয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। আর যশোর জেলার বাইরে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের বাসিন্দা শারমিন বেগমকেও (৬০) ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে যশোর থেকে।
এর আগে গত রোববার যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকার গৃহবধূ সুমাইয়া ইসলাম (২৩), শনিবার মেডিকেল কলেজের ইএনটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম নাজমুল হক ও তার স্ত্রী ডা. শরিফা খাতুন এবং  যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রসূতি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জান্নাতি বেগম নামে এক নারীকে আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
তারও আগে যশোর শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার বাসিন্দা চৌগাছার এক গাইনি চিকিৎসক ছাড়পত্র পান।

আরো সংবাদ