যশোর শহরের কসমেটিক ও কেবল ব্যবসায়ী মুরাদ হোসেন পনিকে অপহরণ, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর হাজী সুমনসহ ৫জনের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকরা পিটিশন কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড হয়েছে। শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার আজগর আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন পনির অভিযোগটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিলে কোতয়ালি থানার ওসি মামলাটি গ্রহণ করে। অপর আসমিরা হলো, চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই জামাল হোসেন, টিএসআই রফিকুল ইসলাম, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলন আলমগীর হোসেন সুমন ওরফে হাজী সুমন, শহরের রায়পাড়া কয়লাপট্টির মৃত ইয়াসিনের ছেলে সার্জেন্ট বাবু ও চাঁচড়ার ভোমরের ছেলে খায়রুজ্জামান বাপ্পি।
পনির মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মুরাদ হোসেন পনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শহরের বড় বাজারে সুনামের সাথে কসমেটিক ও কেবল ব্যবসা করে আসছেন। কাউন্সিলর হাজি সুমনের সাথে বিরোধের জের ধরে তার পরিকল্পনায় ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট রাতে এসআই জামাল ও টিএসআই রফিকের নেতৃত্বে একটি টিম তার বাড়িতে হানা দিতে তাকে ধরে থানায় নিয়ে রাখে। ওই রাতে স্বজনেরা মুরাদকে ছাড়াতে গেলে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় মুরাদকে ক্রসফায়ারে দিবে বলে হুমকি দেন। পরদিন ৩০ আগস্ট সকালে থানায় গিয়ে স্বজনেরা অনুনয় বিনয় করলে ১২ লাখ টাকা দিলে মুরাদকে ছাড়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। ১ সেপ্টেম্বর সকালে থানায় গিয়ে ওই দুই অফিসারকে ১২ লাখ টাকা দিলে গুরুতর আহত অবস্থায় মুরাদকে মুক্তি দেন। দুইদিন থানায় আটকে রেখে ১২ লাখ টাকা চাঁদা নিলেও পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় তিনি মামলা করতে পারেননি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।