আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৬:৪৫

কারবালার ইরফান ফারাজী হত্যা মামলায় প্রধান আসামী আঃ কাদের গ্রেফতার।

যশোর কোতয়ালী থানাধীন খড়কি কারবালা বামনপাড়া রোডে ফারাজি দোকানের মালিক ইরফান ফারাজি, পিতা- মোঃ রফিকুল ইসলাম ফরাজিকে ২২ডিসেম্বর বিকাল ০৩:৪৫ ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দুস্কৃতকারীরা বুকে চাকু মেরে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত ফারাজিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। এই সংক্রান্তে নিহতের ভাই ইমরান ফরাজি বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করে।
ঘটনাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে আসামীদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের লক্ষ্যে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন।

ঘটনাস্থলের পাশে একটি মাদ্রাসার সিসিটিভি ফোটেজ থেকে আসামীদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত থাকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। র‌্যাব-৬, যশোর এর একটি টিম আজ ভোর ০৬.০০ ঘটিকার সময় নিউ মার্কেট এলাকায় অভিযান করে সিসিটিভি ফোটেজ থেকে সন্ধিদ্ধ আসামী তৌহিদুল ইসলামকে আটক করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম এর সমন্বয়ে একটি টিম যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী তৌহিদুল ইসলাম এর দেওয়া তথ্য মোতাবেক রেলগেট রায় পাড়া রেল ক্রসিং সংলগ্ন জনৈক টেরা বাবুর দখলি জমিতে ইটের নীচ থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী তৌহিদুল ইসলাম এর দেওয়া তথ্য মোতাবেক কোতয়ালী থানাধীন রেলগেট এলাকা হইতে প্রধান আসামী আঃ কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আঃ কাদের এর স্বীকারোক্তি মতে ভিকটিম ইরফান ফরাজির নিকট থেকে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে নেওয়া টাকার মধ্যে নগদ ৫০,০০০/- টাকা এবং স্ট্যাম্প ও ভিকটিমের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে জানা যায়, অনুমান দেড় বছর পূর্বে আঃ কাদের অত্র মামলার ভিকটিম ইরফান ফরাজির নিকট থেকে সরকারী চাকুরী দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে নেওয়া মোট ৩,২০,০০০/- টাকা নিয়ে ব্যবসায়িক লেনদেন হিসেবে স্ট্যাম্প করে দেয়। পরে চাকুরী না দিলে ভিকটিম ইরফান ফরাজি টাকা চাইলে আঃ কাদের এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। সে সূত্রে আঃ কাদের পাখি, তৌহিদ, শিশির, রাহুলদেরকে ৫০ হাজার টাকায় চাকু মেরে হত্যার জন্য চুক্তি করে। সে চুক্তি মোতাবেক ঘটনার দিন পাখি, তৌহিদ, শিশির ও রাহুল চাকু নিয়ে কারবালা ফরাজি স্টোর নামক দোকানে গিয়ে চিপস কিনার কথা বলে চাকু দ্বারা স্টেপ করে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে আসে। পরে ইরফান ফরাজিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আঃ কাদের (৪২), পিতা- আঃ মজিদ, মাতা- মোছাঃ সখিনা বেগম, সাং- রেলগেট রায়পাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর নগদ ৫০,০০০/- টাকা ১০০/- টাকা মুল্যের স্ট্যাম্প ভিকটিমের মোবাইল।

আরো সংবাদ