আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - দুপুর ১২:০২

কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভুল ইনজেকশনে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভুল ইনজেকশন পুশ করায় সাভারের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু অভিযোগে উঠেছে। মৃতদেহ ১১দিন লাইফ সাপোর্টে রেখে মৃত্যু সনদ ছাড়াই বুঝিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন মৃত শিক্ষার্থীর স্বজনরা। নিহত ছাত্র মো. সাজ্জাদ হোসেন শুভ (১৪) উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নের মধ্যে চারিগ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) তার মরদেহ মানিকগঞ্জ জেলায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়েছে।

নিহতের পরিবার জানায়, শুভর জ্বর ও মাথা ব‍্যাথা হলে গত ১৫ আগস্ট সাভারস্থ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী প্রফেসর ডাক্তার জাকিরুল ইসলামকে দেখান। তিনি এমআরআই এবং আরও কিছু টেস্ট দেন এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসাপত্র লিখে দেন। পরবর্তীতে ডাক্তারের দেয়া সব টেস্ট করিয়ে ওইদিনই রাত ৯-১০ টার দিকে রোগীকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করান ।

ডা. জাকিরুল ইসলামের প্রদত্ত চিকিৎসাপত্র অনুযায়ী শুভ শারীরিকভাবে প্রায় ৯০ ভাগ সুস্থ ও ভালো বোধ করছিল। ১৬ আগস্ট দুপুরের দিকে চিকিৎসাপত্রে ডাক্তারের লিখে দেয়া Vancomycin এর পরিবর্তে নাম না জানা কোন এক ডাক্তার Vecuronium Bromide BP ইনজেকশন রোগীর শরীরে পুশ করান। এতে রোগী সাথে সাথেই লুটিয়ে পড়ে।

এ সময় রোগীর চাচা ৯৯৯ ফোন দেয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ আসে। পুলিশ আসার ফলে ডাক্তাররা রোগীকে আইসিইউতে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান ভুল ইনজেকশনের কারণে রোগীর হার্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সিপিআর ম্যাসিনের মাধ্যমে হার্ট চালু করা হয়েছে এবং ফুসফুসে কৃত্রিমভাবে শ্বাস প্রশ্বাস দেয়া হচ্ছে। রোগী লাইফ সাপোর্ট এ কোমায় আছে। অবশেষে দীর্ঘ ১১ দিন পর ২৬ আগস্ট রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নিহতের বাবা মো. শাহজাহান জানান, আমার উপস্থিতিতেই ইনজেকশন দেয়ার সময় তার ছেলে লুটিয়ে পড়ে। এ অবস্থা দেখে সাথে সাথে আমার কাছ থেকে ডাক্তার, নার্স ও আনসার মিলে যাবতীয় চিকিৎসাপত্র জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। আমি সেগুলো দিতে না চাইলে আনসাররা তাকে আঘাতও করে। কিন্তু ইনজেকশনের কভারটা নিতে পারেনি। আমার ছেলে নিহতের ঘটনায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় ডাক্তারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের শাস্তি চাই।

আরো সংবাদ