আজ - রবিবার, ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - রাত ৯:২৬

কুস্টিয়ায় যুবকের ৯ খন্ড লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর চরের চারটি জায়গা থেকে মিলন হোসেন (২৭) নামের এক যুবকের লাশের নয়টি টুকরা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মার চরে অভিযান চালিয়ে লাশের টুকরাগুলো উদ্ধার করা হয়।
মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বাহিরমাদি গ্রামের মাওলা বক্স সরদারের ছেলে। গত বুধবার সকালে এস কে সজিব নামের এক যুবকের ফোনকল পেয়ে তিনি শহরের ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। ওই সন্ধ্যায় মিলনের স্ত্রী কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মুঠোফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে প্রথমে মিলনের এক বন্ধুকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, আরেক বন্ধু সজিবের নেতৃত্বে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। পরে গতকাল বিকেলে অভিযান চালিয়ে সজিবসহ আরও চারজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিলনকে হত্যা করে তার লাশ টুকরা করে পদ্মা নদীর চরে পুঁতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন।

গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে আটকদের নিয়ে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের কান্তিনগর বোয়ালদহে পদ্মা নদীর চরে অভিযানে যায় পুলিশ। রাতভর অভিযান চালিয়ে নদীর চরের বালুর ভেতর চারটি স্থান থেকে মিলনের লাশের নয়টি টুকরা উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র বাঁধবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশের ধারণা, চাঁদার দাবিতে মিলন হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই একে অপরের পরিচিত। মিলনকে মুঠোফোনে ডেকে হাউজিং এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ওই রাতে তাকে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করার সুবিধার্থে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লাশ টুকরা টুকরা করা হয়।

এই পুরো হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এস কে সজিব।

মামলার তদন্ত চলছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো সংবাদ