আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৩:৩৪

কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

পাবনার ঈশ্বরদীতে উপনির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা থেকে আসা কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশে বসা কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন ছুরিকাহত হন।

সোমবার বিকাল ৪টার দিকে ঈশ্বরদীর সাহাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাহতরা হলেন- জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানা (৪৫), জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন (২৪), সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন (২২) এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক আজমল হোসেন রানা (২৭)। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাদ্দাম হোসেন, সাব্বির হোসেন ও আজমল হোসেন রানাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় আহত আরও চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধানের শীষের প্রচারণায় অংশ নিতে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, ডাকসুর সাবেক জিএস ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক জিএস নাজিমউদ্দিন আলম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ সোমবার ঈশ্বরদীতে আসেন।

ঈশ্বরদীতে পথসভা ও গণসংযোগ শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ হাবিবুর রহমান হাবিবের গ্রামের বাড়ি সাহাপুরের বাসভবনে যান। এ সময় নেতাদের সঙ্গেই ছিলেন পাবনা জেলা বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।

বিকাল ৪টার দিকে খাবার দেয়ার সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশে বসা নিয়ে পাবনা থেকে আসা জেলা বিএনপির দুটি গ্রুপ প্রথমে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসীর উদ্দীন এ ঘটনা সম্পর্কে বলেন, শহরে পুলিশ মোতায়েন ও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে শহরের পরিস্থিতি এখন শান্ত। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।

আরো সংবাদ