যশোর সদরের পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় দুইদিন ধরে তালাবদ্ধ রয়ছে।কোনো নোটিশ ছাড়ায় বিদ্যালয় বন্ধ রাখায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের এসে ফিরে যেতে দেখা গেছে।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাওছার আলী জানান,স্কুলের সভাপতি সেলিম রেজা পান্নুর নির্দেশে বিদ্যালয় তালাবদ্ধ করে রাখা হয়ছে।সভাপতি বহু বিতর্কিত অস্ত্র হত্যা মামলার আসামী সেলিম রেজা পান্নু জানান বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়ছে।আমাদের প্রতিনিধি স্কুলে যেয়ে দেখতে পান বিদ্যালয়ে কোন সংস্কারের কাজ হচ্ছে না বিদ্যালয় সহ সকল ক্লাস রুম তালাবদ্ধ।কোনা কারন ছাড়াই বিদ্যালয় বন্ধ রাখায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা শিক্ষা অফিসার একে এম গোলাম আযম।
পুলেরহাট এলাকাবাসী জানান বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব গ্রহনে বাধা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয় দুই দিন ধরে তালাবদ্ধ রাখা হয়ছে।
বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে সহকারী প্রধান শিক্ষক কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।যদি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক না থাকে, সেক্ষেত্রে সিনিয়র শিক্ষক এ দ্বায়িত্ব পান।২০১৬ সালে পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ১৯ শে সেপ্টেম্বর অবসরে যান।২০ শে সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আরজান আলী।২০২১ সালের ২৮ শে জুন করোনা ভাইরাসে অসুস্থ হলে অব্যাহতি চেয়ে আরজান আলী আবেদন করেন স্কুলের সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান রয়েলের কাছে।আবেদনে তিনি লেখেন করোনায় অসুস্থ হওয়ার কারনে আমি দ্বায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি নিচ্ছি। সুস্থ হলে আবার দ্বায়িত্ব গ্রহন করবো।ওই সালের জুলাই মাসে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির নতুন সভাপতি বিদ্যালয়ের সব থেকে জুনিয়র শিক্ষক কাওসার আলীকে নিয়ম বহির্ভুতভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব দেন।কাওসার আলীকে দ্বায়িত্ব দেওয়ার পর তার সহায়তায় নির্বাচনী তফসিল গোপন করে চলতি বছরের ১৭ই মে কমিটি করেন।উক্ত কমিটির বিরুদ্ধে ১৮ই মে অভিভাবকরা একটি মামলা করেন,মামলা চলমান রয়েছে।১৭ ই জুন এই কমিটি অবৈধ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় দেন।সেটা অবশ্য জেলা শিক্ষা অফিস গ্রহন করেনি।পরবর্তীতে আরজান আলী সুস্থ হয়ে বিদ্যালয়ে আসলে সভাপতি তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব দেন।অথচ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে থাকেন জুনিয়র শিক্ষক অবৈধ ভাবে দ্বায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাওসার আলী।২০ শে আগস্ট আরজান আলী তার চেয়ারে গিয়ে বসেন।এ সময় ঝামেলা সৃস্টি করেন কাওসার আলী পক্ষিয় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা।উক্ত সময় জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম তাকে বিদ্যালয় থেকে সরিয়ে নিয়ে আসেন।তাকে জানান পরে রার দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের একটি সুত্র জানায়,যাতে আরজান আলীকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব দিতে না পারে এই কারনেয় রোববার ও সোমবার বিদ্যালয় তালাবদ্ধ রাখা হয়।ঘোষনা ছাড়াই বিদ্যালয় বন্ধ রাখায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে ফিরে যায়।বিদ্যালয় টিতে অবৈধভাবে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান,সভাপতি পান্নুর নির্দেশে বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়ছে। বিদ্যালয় বন্ধ রাখার বিষয়টি সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানেন।
বিদ্যালয় কোন কারন ব্যতিত বন্ধ রাখার বিষয়ে সভাপতি সেলিম রেজা পান্নু বলেন।বিদ্যালয় সংস্কার করার জন্য বন্ধ রাখা হয়ছে।সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম রবিউল ইসলাম জানান,প্রধান শিক্ষক কয়েকদিন ছুটিতে আছেন।সে ছুটি অনুযায়ী বিদ্যালয় বন্ধ আছে।
অবৈধ ভাবে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম বলেন,কোন কারন ছাড়ায় বিদ্যালয় বন্ধ রাখা কোন নিয়ম নায়।বিদ্যালয় বন্ধ রাখার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।