বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের পরিবার মারাত্মক এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এই তারকা ক্রিকেটারের চাচাত ভাইকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে মালয়েশিয়ায়। কী কারণে জবাইয়ের মতো রোমহর্ষক ঘটনার শিকার হতে হলো মুমিনুলের চাচাত ভাইকে, সেই বিষয়ে আরটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।
মুমিনুলের চাচাত ভাই আবদুল খালেক লম্বা সময় ধরে মালয়েশিয়ায় জীবিকা অর্জনের জন্য কাজ করছিলেন। সেখানে রোহিঙ্গাদের অসাধু কাজের বিরোধিতা করায় হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয় ৩২ বছর বয়সী খালেককে। নিজের চাচাত ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়ে আরটিভি অনলাইনকে মুঠোফোনে মুমিনুল বলেন, ‘উনি আমার কাজিন হন। আসল কারণটা (হত্যাকান্ডের)… আমি যতটুকু বাবার কাছে শুনেছিলাম, উনি ওই জায়গায় সাত-আট বছর ধরে থাকেন। শহর থেকে অনেক দূরে থাকতেন তিনি।
সেখানে উনার সঙ্গে রোহিঙ্গাও দুই-তিনজন থাকত। সেই রোহিঙ্গারা মনে হয়, কোনো একটা অসাধু কাজ করেছিল। আমার কাজিনকে যিনি নিয়ে গিয়েছিলেন তাকে রোহিঙ্গাদের সেই অসাধু কাজের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছিলেন আমার সেই চাচাত ভাই। ইনফর্ম করার কারণে, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তার রেষারেষি হয়। পরের দিন ঘুমের সময় তাকে জবাই করে হত্যা করেন সেই রোহিঙ্গারা।’
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার কেদাহ প্রদেশের জিত্রা জেলার মুকিম তাঞ্জাংয়ের তাম্বাক রোডের পাশের একটি ডোবার মধ্যে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় মুমিনুলের চাচাত ভাই খালেকের লাশ। তিনি সেখানে স্থানীয় একটি নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানে ফোরম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।