আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৮:৪৭

ক্রয়কৃত যুবলীগের পদই শহীদ মেম্বারের মাদক ব্যবসার উৎস।

আবুল বারাকাত :: গত ২৬ অক্টোবর ২০১৯ তারিখ দুপুর ০২.৩০মিনিটে চান্দুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার মোঃ শাজাহান আলীর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম (২৭) কে চান্দুটিয়া বাজার এলাকা থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার করেন এস আই মোঃ আমিরুজ্জামান।

এ ঘটনার জের ধরে উক্ত ফেনসিডিল ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে দেয়াড়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সবেক সহ সভাপতি  ওয়াজেদকে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-  আহবায়ক শহিদুজ্জামান শহিদের ইন্ধনে পিস্তল দেখিয়ে ভয় ও জীবন নাশের হুমকি দিয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে পিচ্চি বাবু, সম্রাট, সামারুল, সহ আরও দুইজনের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ভুক্তোভোগী ওয়াজেদ জানান, গত ২৭ তারিখ রবিবার বিকাল ৩.৫৫ মিনিটে দুইটি মটরসাইকেল যোগে পিচ্চি বাবু, সম্রাট, সামারুল সহ আরও দুইজন পিস্তল দেখিয়ে  আমাকে হুমকি দেয়। তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বলে আমাদের মাল (ফেনসিডিল) ধরিয়ে দিয়েছিস এমনটি বলে পিস্তল দেখিয়ে আমাকে ভয় দেখায় এবং ভাত খাওয়া অবস্থায় আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে উক্ত সময়ে বাজারের লোকজন জড় হয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। আমি এ বিষয়টা এলাকার লোকজন সহ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান মিন্টু এবং কাজী নাবিল আহম্মেদের পি এস সুজন সাত্তারকে বিষয় টি জানালে তারা দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন এবং প্রশাসনকে না জানানোর অনুরোধ করেন। এরপর আমি প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে পালবাড়ী ভাষ্কার্য মোড়ে পৌছালে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুজ্জামান শহিদ আমাকে ফোন করে আইনের আশ্রই নিতে বারণ করে বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি ওরা আমার লোক।  আমি আইনের আশ্রই না নিয়ে ফিরে আসার পরদিন পর্যন্ত শহীদ মেম্বার আমার সাথে দেখা করেনি বা আমি যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলেও তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে আমাকে এড়িয়ে গিয়েছেন। এরপরে এলাকাবাসীর পরামর্শে আমি কোতয়ালী মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে একটি এজাহার উক্ত আসামীদের নামে দাখিল করি এবং উক্ত এজাহারের তদন্তভার এস আই শাহাজুল ইসলামকে দেওয়া হয়। আমি উক্ত এজাহার দাখিল করার পর থেকে জীবন আশঙ্কায় ভুগছি এবং আজ (বুধবার) বিকাল ৪.৩০ মিনিটে পিচ্চি বাবু, সম্রাট, সামারুল সহ অস্ত্রধারী ও মাদকব্যবসায়ীরা আমার দোকানঘর ভাংতে উদ্যোক্ত হয় তখন এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা বলে আমরা শহীদের লোক তোদের দেখে নেবো। ওয়াজেদ আরও বলেন যে, ছুটিপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পরিচালিত মাদকের সিন্ডিকেট সম্রাট, সামারুলদের দিয়ে শহীদ মেম্বার পরিচালিত করে।

এ বিষয়ে এস আই শাহাজুল ইসলামকে জিঙ্গাসা করলে তিনি বলেন,“ আমি এখনও অভিযোগের কপি হাতে পায়নি। অভিযোগপত্র হাতে পেলেই আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।            

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত