আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৬:৫৪

খাজুরায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ

যশোরের খাজুরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার এক কলেজ ছাত্রীর (১৯) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন এক যুবক। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ছাত্রী ও তার পরিবার বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিক হাবিবুর রহমান (২৪) টালবাহানা শুরু করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদি হয়ে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) হাবিবুরকে একমাত্র আসামি করে যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ৪২/২০২২।

মামলার এজাহার নামীয় আসামি হাবিবুর রহমান স্থানীয় বন্দবিলা ইউনিয়নের চাঁপাতালা গ্রামের নিকমল হোসেনের ছেলে। মামলা দায়েরের পরে লাপাত্তা রয়েছেন আসামি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদি স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী, সেকেন্দারপুর গ্রামের বাসিন্দা। আসামি কলেজ সংলগ্ন সেকেন্দারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী পদে কর্মরত। কলেজে যাওয়া আসার পথে ২০২১ সালের নভেম্বরে বাদির সাথে আসামির পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আসামির বিয়ের আশ্বাসে বাদি তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।

সর্বশেষ, গত ২০ মার্চ রাত নয়টার সময় বাদির বাড়িতে আসামি গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ সময় প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীর কাছে সম্পর্কের কথা স্বীকার করলে তাদের বিয়ে দিতে চাইলে আসামি হাবিবুর আপত্তি জানায়। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে বাদি ও আসামিকে হেফাজতে নিয়ে তাদের পরিবারকে খবর দেয়। খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপর ছেড়ে দেয়। বাদি ও আসামি পক্ষের সম্মতিতে ষ্টাম্প ও ব্যাংক চেকের মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে মিমাংসা হয়। পরবর্তীতে আসামি হাবিবুর তৃতীয় পক্ষের ইন্দনে বিভিন্ন ফন্দি আঁটতে থাকে এবং ভূক্তভোগী ছাত্রী ও তার পিতাকে ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে। যে কারণে ওই কলেজ ছাত্রী হাবিবুর রহমানকে একমাত্র আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য আসামির খোঁজ করতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।

আরো সংবাদ