আজ - বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:২০

খুলনায় বিএনপির ৮ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা

খুলনা প্রতিনিধি: পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৮ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় বিএনপি নেতা শফিকুর আলম তুহিনসহ ৯২ জনের নাম উল্লেখ ও বাকীদের অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

 

 

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাতে খুলনা সদর থানার এসআই বিশ্বজিৎ কুমার বোস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ১৪ জনকে আহত করা, ভাংচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেল অনুমান ৩টার দিকে ৬নং কে ডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি চলছিল। অপর দিকে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল বিকেল ৪টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি চলছিল। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ডাক বাংলো মোড় থেকে ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে আসার সময় বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর পিকচার প্যালেস মোড় ক্রস করার সময় খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট পাটকেলসহ খুলনা জেলা ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পিকচার প্যালেস মোড় থেকে বিএনপি অফিস পর্যন্ত ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এ সময় টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের ছোঁড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে ১৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৩৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ৮ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে খুলনা সদর থানায় একটি মামলা হয়। মামলা নং-৩১।

 

জানা গেছে, খুলনায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে বিএন‌পির সমা‌বেশ পণ্ড হয়ে যায়। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আগেই খুলনায় পৌঁছান। সমাবেশে যোগ দিতে ছাত্রদলের জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকেন।

একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মিছিল বের করেন মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকেন।

 

বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের হামলায় মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের আবির হোসেন হৃদয়, রেজওয়ান হোসেন ইমন, তানভির রহমান আকাশ, কাজী নজিব, মফিজুর রহমান মুন্না, নাজমুল হুদা অঞ্জন, সজিব তালুকদার, হাসিব শেখ, মনিরুল ইসলাম বান্টি, আকতারুজ্জামান মাসুদ, আজিজুর হাকিম, মো. নিয়ামুল, আল-আমিন, ইমরান আহমেদ, হাসান, সামির, শংকর কুন্ডু, ফাহিম ফয়সাল অপলসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।

হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগ। সংবাদ সম্মেলনে এ ন্যাক্কারজনক হামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এতে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। অথচ পুলিশ উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

তিনি জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হবে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত থাকবেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত