খুলনায় দুর্বৃত্তের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ১১ মামলার আসামি আশিকুজ্জামান রাসেল ওরফে পঙ্গু রাসেল (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দু’জন আহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার শেরে বাংলা রোড সংলগ্ন আলকাতরা মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেল নগরীর আমতলার মোড় এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত দুই যুবক পুলিশ হেফাজতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে রয়েছে। তারা হলেন– খুলনা থানাধীন সদর হাসপাতাল এলাকার জনৈক হুমায়ুন কবিরের ছেলে সজীব এবং সোনাডাঙ্গা থানাধীন আমতলা এলাকার আবদুল হান্নান শেখের ছেলে ইয়াছিন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তিনটি মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন যুবক আলকাতরা মিল এলাকায় আসে। তারা রাসেলকে বুকের পাশে ২টি গুলি করে এবং দুই পায়ের হাঁটুর নিচে কুপিয়ে জখম করে। এছাড়া অন্য ২ জন চাপাতির কোপে রক্তাক্ত জখম হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। তবে আরও খোঁজখর নেয়া হচ্ছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, নিহত রাসেল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদক সংক্রান্ত মামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রাঘাতে জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান বেলাল আহত হয়েছেন। শনিবার রাত দেড়টার দিকে নগরীর কমার্স কলেজের পাশে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত বেলাল জিলা স্কুল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফের ছেলে।
পুলিশ জানায়, রাত দেড়টার দিকে বেলাল মোটরসাইকেলযোগে কমার্স কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে। এরপর তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেলালের বাম হাতের কব্জিতে ও ডান পায়ের হাঁটুতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।