রোববার খুলনা জেলা প্রশাসক ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার থেকে লকডাউন চলার সময় খুলনা রেলস্টেশনে ট্রেনের আগমন ও বহির্গমন বন্ধ থাকবে।
“একইসঙ্গে জেলার অভ্যন্তরে বা আন্তজেলার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে ইজিবাইক, থ্রি–হুইলারসহ সব যানবাহন চলাচল।”
জেলা প্রশাসক জানান, লকডাউনের সময় জেলা ও নগরে ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। তবে অন্য সব ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিং মল, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারের দোকান খোলা রাখা যাবে।
ওই সময়ে হোটেল-রেস্তোরাঁসহ শুধু টেকওয়ে অথবা অনলাইনে খাবার সরবরাহ করতে পারবে।
বন্ধ থাকবে সব ধরনের পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র। তবে উৎপাদনশীল শিল্প ও কারখানা উৎপাদন কার্যক্রমের আওতার বাইরে থাকবে।
“অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। বাইরে অবস্থানকালে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস চলাকালে পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে বাইরে চলাচল করতে পারবেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি উপকরণ, সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষিযন্ত্র ইত্যাদি খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরে কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যকীয়পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবে।
এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারাও বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে। বার বার সতর্ক করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়েনি।
খুলনা সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, “সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার একমাত্র কারণ, স্বাস্থ্যবিধি না মানা। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সচেতন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ কারণেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।“
রোববার বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিভাগে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭৬৩ জনের করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।