আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৪:০৩

গণমাধ্যমে আমাকে নারীবিদ্বেষী বলে প্রচার চালানো হচ্ছে: আল্লামা শফী

স্টাফ রিপোর্টার: বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাকে নারীবিদ্বেষী ও নারী শিক্ষাবিদ্বেষী বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দাঁড় করাচ্ছে। বললেন হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা শফী দাবি করেন, মাহফিলে দেয়া তার বক্তব্যের একটি খণ্ডাংশ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।হাটহাজারী মাদ্রাসার মুখপাত্র মাসিক মুঈনুল ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক সরওয়ার কামাল প্রেরিত ওই বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, বক্তব্যে আমি মূলত বলতে চেয়েছি ইসলামের মৌলিক বিধান পর্দার লঙ্ঘন হয়, এমন প্রতিষ্ঠানে নারীদের পড়াশোনা করানো উচিত হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এখানে শিক্ষা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনাসহ যাবতীয় সব কিছুই রয়েছে। ইসলামে নারীদের শিক্ষার বিষয় উৎসাহিত করা হয়েছে এবং সবাই অবগত যে, উম্মুল মুমিনিন হজরত মা আয়েশা (রা.) ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস। তিনি শিক্ষাগ্রহণ না করলে উম্মত অনেক হাদিস থেকে মাহরুম হয়ে যেত।ইসলামের একটি মৌলিক বিধান হচ্ছে পর্দা উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, নারীদের পর্দার বিষয় ইসলামে সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। আমি আমার বক্তব্যে বলতে চেয়েছি, শিক্ষাগ্রহণ করতে গিয়ে যেন পর্দার বিধান লঙ্ঘন করা না হয়। কারণ আমাদের দেশের বেশিরভাগ সাধারণ শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সহশিক্ষা দেয়া হয় অর্থাৎ ছেলেমেয়ে একই সঙ্গে শিক্ষাগ্রহণ করে থাকে। এতে করে পর্দার লঙ্ঘন হয়। আমি মূলত এই সহশিক্ষা গ্রহণেই মানুষকে সতর্ক করতে চেয়েছি।তিনি বলেন, আমি কওমিপন্থী ছয় বোর্ডের নিয়ন্ত্রণকারী হাইয়াতুল উলইয়ালিল জামিয়াতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আপনারা জানেন যে, ওই ছয় বোর্ডের অধীনে হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার সনদ গ্রহণ করে থাকেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান প্রদান করেছেন। এতে করে আমাদের দেশের লাখো মাদ্রাসাছাত্র ও ছাত্রীরা দাওয়ারে হাদিস পাস করে মাস্টার্সের সমমান অর্জন করছেন। যে সম্মিলিত বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়ে হাজার হাজার নারী রাষ্ট্র স্বীকৃত উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত বলে পরিগণিত হচ্ছে, সেই বোর্ডের প্রধান হয়ে আমি কিভাবে নারী শিক্ষার বিরোধী হলাম তা বোধগম্য নয়।হেফাজত আমির বলেন, নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে নই, তবে নারীর জন্য নিরাপদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয় আমরা আগেও সতর্ক করেছি, এখনও করছি। আমরা চাই নারীরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক, তবে সেটা অবশ্যই নিরাপদ পরিবেশে থেকে এবং ইসলামের মৌলিক বিধানকে লঙ্ঘন না করে। শিক্ষাগ্রহণ অবশ্যই জরুরি, তবে সেটা গ্রহণের জন্য আমরা আমাদের কন্যাদের অনিরাপদ পরিবেশে পাঠাতে পারি না।তিনি বলেন, আমি চাই এ দেশের নারীরা শিক্ষিত হোক, কারণ মা শিক্ষিত হলেও সন্তান সঠিক শিক্ষা পাবে। নারীদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য পরিবেশ তৈরি করুন। যেখানে পরিচালক থেকে শুরু করে কর্মকর্তারা সবাই নারী থাকবেন। সে ধরনের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা থাকলে আমরা তাতে উৎসাহিত করব।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত