আজ - শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - বিকাল ৪:৫৮

গণহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে যশোর সদর উপজেলা আ’লীগের মোমবাতি প্রজ্বল

এম আহম্মেদ (যশোর থেকে) : ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন উপলক্ষে যশোর জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাত আটটায় যশোর বকুল তলাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে গণহত্যার শিকার সকল শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এই সময় যশোর জেলা আওয়ামীলীগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও যশোর পৌর আওয়ামীলীগের সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা যায়।

আজ ২৫ মার্চের সেই কালরাতের ৫০ বছর। যশোর জেলা, সদর উপজেলা ও যশোর পৌর আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ যশোর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোক মিছিল বের হয়ে বকুল তলাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-০৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, যশোর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ হাসান বিপু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মতলেব বাবু, দেয়াড়া মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল, রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদ হাসান লাইফ, যশোর জেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের যুগ্ন-আহবায়ক ফিরোজ কবীর পিকুল, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ন কবীর তুহিন, কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম হিমু প্রমুখ।

মূলত বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের সেই অভিযানে কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা।

২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান; শুরু হয় বাঙালির প্রতিরোধ পর্ব।

নয় মাসের যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং জাতির অসাধারণ ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।

আরো সংবাদ