মুনতাসির মামুন।। করোনার প্রভাবে সারা বিশ্বে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাদ পড়েনি বাংলাদেশও। নতুন কেউ যেন করোনা আক্রান্ত না হয় সে লক্ষ্যে সাধারন মানুষকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার। ফলে খেঁটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনাহারে অর্ধাহারে দিন গুজরান করছেন তারা।
মানবেতর এমন জীবন যাপন দেখতে চাননি আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহারুল ইসলাম।
তার ইউনিয়নে একটা পরিবারও অভুক্ত থাকবেনা এ প্রত্যয় ধারন করে নিজের গাড়ীর টিকি ভরেন গরীবের রশদ সামগ্রী দিয়ে। তার মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, সয়াবিন, সাবান সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর আলাদা আলাদা প্যাকেট।
আরবপুরের সুজলপুর, খোলাডাঙ্গা ও ধর্মতলায় বিপুল পরিমাণ রদশ নিজ হাতে বিতরণ করেন চেয়ারম্যান৷ এই রশদ শেষ হলে পুনরায় রশদ বাড়ী বাড়ী পৌঁছে দেয়া হবে একই সাথে নতুন কেউ কর্মহীন হয়ে পড়লে সাথে সাথে তাঁকে জানানোর জন্য ইউনিয়ন বাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শাহারুল ইসলাম বলেন সুযোগ বার বার আসেনা। আপনার উপর প্রতিবেশির হক রয়েছে। প্রতিবেশির প্রতি সদয় আচরণ তাঁদের সুখ দুঃখে পাশে থেকে খোঁজ খবর নেয়া সেবা করা আপনার সামাজিক দায়িত্ব। তাদের এই চরম দুঃসময়ে আপনার হক আদায়ের সুযোগ কাজে লাগান। স্বীয় প্রতিবেশির খোঁজ খবর রাখুন। অনাহারে থাকলে তাঁদের আহারের ব্যবস্থা করুন। নিঃসন্দেহে মালিক আপনার ধন দৌলত বরকত দিয়ে পরিপূর্ণ করে দিবেন।
এদিকে বিদেশ ফেরত যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তাঁদেরও সার্বিক খোঁজ খবর রাখছেন শাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন মালিকের উপর ভরসা করে দিনরাত গুজরান করছি মানুষের সেবায়। মালিক যদি অনাহারী অর্ধাহারীর রিজিক আমার হাত দিয়ে কবুল করেন তবে আমার ইউনিয়নে একজন দরিদ্র মানুষও না খেয়ে মারা যাবেনা।
সে যে ধর্মের বা যত নিম্ন জাতের হোক না কেন। আমার কাছে সকলের একটাই পরিচয় ওরাও মানুষ- আছে ওদের বাঁচার অধিকার। মানুষ গুলো আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে আমি তাঁদের কাছে দায়বদ্ধ।