আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:৩১

গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রাণ গেল ৪ জনের

গাইবান্ধার ওপর দিয়ে আজ রোববার বিকেলে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। বৃষ্টিহীন ঝড়ে গাছচাপায় তিন নারীসহ চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। কালবৈশাখী ঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এই চারজন হলেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ডাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুছ আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০) ও মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আবদুল গাফফার (৪২), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত হলদিয়া গ্রামের সোলায়মান আলীর স্ত্রী ময়না বেগম (৪৭) ও  ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি গ্রামের বিশু মিয়ার স্ত্রী শিমুলি বেগম (২৬)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ বেলা তিনটার দিকে হঠাৎ বৃষ্টিহীন কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ সময় পলাশবাড়ীর জাহানারা বেগম বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে বাড়ির একটি গাছ উপড়ে পড়ে। গাছের নিচে চাপা পড়ে জাহানারা ঘটনাস্থলে মারা যান। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আবদুল গাফফার মোস্তফাপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে একটি গাছ তাঁর ওপর পড়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁদের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান।বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বেলা সোয়া তিনটার দিকে সুন্দরগঞ্জের ময়না বেগম বাড়ির আঙ্গিনায় কাজ করছিলেন। এ সময় একটি গাছ ভেঙে পড়লে তিনি এর নিচে চাপা পড়ে মারা যান। ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান গাছচাপায় তাঁর মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ফুলছড়ি থানার ওসি কাওছার আলী বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার শিমুলি বেগম আজ বিকেল পৌনে চারটার দিকে বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় গাছচাপায় মারা যান।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ইদ্রিশ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ঝড়ে গাইবান্ধা জেলার অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত