বিশেষ প্রতিনিধি: রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষ চলাকালে যে যুবককে দেশলাই দিয়ে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিতে দেখা যায় তাকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার পুলিশের মতিঝিল বিভাগের সহকারী কমিশনার মিশু বিশ্বাস বলেন, নয়াপল্টনে গতকাল পুলিশের গাড়িতে যে যুবক আগুন দিয়েছে তাকে শনাক্ত করা গেছে। তার নাম শাহজালাল খন্দকার। তিনি পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
পুলিশের গাড়ির ওপর যে যুবককে লাফাতে দেখা গেছে, তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। মিশু বিশ্বাস বলেন, ওই যুবকও ছাত্রদলের।
বুধবারের এই ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৫০ জনকে। তবে গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে এই দুজন নেই বলে জানিয়েছেন মিশু বিশ্বাস।
পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক বলেন, মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী ছাড়া মামলায় আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। সংঘাতে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের হামলা ও ভাংচুরের শুরুতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন মির্জা আব্বাস, তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি নবী উল্লাহ নবী। বুধবার মির্জা আব্বাস কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হওয়ার পরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। বিনা উসকানিতে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় দুই পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ি।
পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে এ হামলা পূর্বপরিকল্পিত। তা না হলে কীভাবে বিএনপি সমর্থকদের হাতে শত শত লাঠি থাকবে? কেন শত শত নেতাকর্মী হেলমেট পরে সেখানে যাবে? পুলিশের উসকানিতে হামলা হয়েছে- এমন কোনো আলামত ও ফুটেজ কেউ দেখাতে পারবে না বলে দাবি তাদের।
তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা করেছে। নির্বাচনী পরিবেশকে অশান্ত করতেই এ ঘটনার সূত্রপাত বলে দাবি তাদের।