আজ - বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১২:৩৯

ঘটনার ৯ বছর পরে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা।

যশোর সদরের চাঁচড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির বাড়িতে বোমা হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনার ৯ বছর পর আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বড় মেঘলা গ্রামের মৃত হাশেম আলী দফাদারের ছেলে মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে ডিবিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী এমএ গফুর।

আসামিরা হলো বড় মেঘলা গ্রামের মৃত কিসমত দফাদারের তিন ছেলে মিজানুর রহমান, আমিনুর রহমান, জয়নুর রহমান, মৃত আজিজ পুটের ছেলে রফিকুল ইসলাম, মৃত ইউসুফ মুন্সির ছেলে জাহাঙ্গীর, মৃত আব্দুল হক মোল্যার ছেলে নুর ইসলাম মোল্যার ছেলে, মৃত আফছার আলী খার ছেলে রাহাত আলী, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মসুদুর রহমান, রবিউল ইসলাম নবীর ছেলে বিপ্লব হোসেন, মৃত আবু বক্কারের ছেলে অহিদুল আলম, নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস, মৃত মোশারফ মোল্যার ছেলে শাহারুল ইসলাম, আবুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন, আলী বক্সের ছেলে চঞ্চল, রমজান খার ছেলে সাজ্জাদুল আলম, মৃত লখাই সরদারের ছেলে সাইফুল,  মৃত শামছুদ্দিন মোল্যার ছেলে ইমদাদুল হক, আওয়াল খার ছেলে ইকবাল হোসেন, ছোট মেঘলা গ্রামের মৃত পিয়ার আলী চৌধুরীর ছেলে বাবুল আক্তার, মাহিদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ বিশ্বাসের ছেলে চেয়ারম্যান শামীম রেজা, মৃত জাফর সরদারের ছেলে কিতাব আলী, মৃত ইব্রাহিম সদরারের ছেলে শাহাজাহান সরদার, মৃত উসমান সরদারের ছেলে বাবুল সরদার, মৃত হজরত আলীর ছেলে রিপন হোসেন, আনোয়ার মুন্সির ছেলে আলমগীর হোসেন, নাছিম খার ছেলে ফারুক, করিচিয়া গ্রামের মৃত মোজামের ছেলে ইব্রাহিম, ভাতুড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেম গাজীর ছেলে কাজল, মকছেদ গাজীর ছেলে আব্দুল হামিদ, তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে আতিয়ার রহমান, তেতুলিয়া গ্রামের ইউসুফ মুন্সির ছেলে আব্দুল হামিদ, গোয়ালদাহ গ্রামের মৃত মহাতাব বিশ্বাসের ছেলে ইয়াসিন, সাড়াপোল গ্রামের নিজাম উল্লাহর ছেলে মঞ্জুর এ মাহবুব, তপসীডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফটিক বিশ্বাসের ছেলে তোফাজ এবং আহাদ আলীর ছেলে মামুন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামিরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ বছর ক্ষমতায় থাকায় আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। মনিরুজ্জামান ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হওয়ায় তাকে ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করে আসছিল আসামিরা। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামিরা মনিরুজ্জামানের বাড়িতে হামলা করে। হামলাকারী ভাঙচুর, লুটপাট, বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। আসামির প্রভাবশালী হওয়ায় এ ঘটনায় তখন মামলা করা যায়নি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত