আজ - বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - বিকাল ৪:১৬

‘চসিক নির্বাচন’ রেজাউলের বাসায় হঠাৎ বৈঠক আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায় হঠাৎ বৈঠক করেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।

রাত ১০টায় শেষ হওয়া বৈঠকে নির্বাচনের প্রচারণার কলাকৌশল নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সভায় উপস্থিত একটি সূত্র। এছাড়া এতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, মেয়র পদে নির্বাচনের কলাকৌশল ছাড়াও এতে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে দলের কঠোর অবস্থানের কথা জানান।

তারা বলেন- বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের হয় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে, না হলে তাদের দলের পদ-পদবি থেকে বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শুরু থেকেই চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে হার্ডলাইনে ছিল আওয়ামী লীগ। তবে পরে নির্বাচন স্থগিত হলে করোনাকালে বিভিন্ন এলাকায় মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিমকে নিয়ে কৌশলী প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখে আওয়ামী লীগ। সেসব কর্মসূচিতে সক্রিয় হয়ে অনেকটাই মাঠ গুছিয়ে নিয়েছিলেন ব্যাকফুটে থাকা এসব বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ (ডলফিন), আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, কোষাধ্যক্ষ আব্দুচ ছালামসহ নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

সভা শেষে রেজাউল করিমের বাসায় রাতের খাওয়া সেরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চলে আসেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি বছরের ২৯ মার্চ এই সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে পরে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে জনগণ কিছুটা মানিয়ে ওঠায় নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরো সংবাদ