সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৩০ গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে জেলার হাজীগঞ্জের সাদ্রা মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গ্রামের মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মুসুল্লীদের উৎসবমুখর পরিবেশে দলে দলে ঈদের নামাজে অংশ নিতে দেখা গেছে।
এর আগে সোমালিয়া, নাইজেরিয়া ও পাকিস্থানে চাঁদ দেখে গেছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার (১২ মে) চাঁদপুরের কয়েকটি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা ইসহাক আহমেদ ১৯২৮ সালে এ প্রথা চালু করেন। প্রথা অনুযায়ী পৃথিবীর যে প্রান্তেই ঈদের চাঁদ দেখা যায় না কেন ওইদিন তারা ঈদ উদযাপন করেন।যদিও এবছর তার ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছে। কিছু অনুসারী দুদিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন।
অন্যান্য বছর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া ও শাহরাস্তিসহ পাঁচ উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রাম প্রতিবছর সৌদির সঙ্গে সমন্বয় রেখে ঈদ উদযাপন করে।
মাওলানা আরীফ চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার (১১ মে) সোমালিয়া, নাইজার ও পাকিস্থানে চাঁদ দেখা গেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর নির্ভরযোগ্য ছিল না। তাই বুধবার (১২ মে) আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করিনি।
সাদ্রা ছাড়াও ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, টোরা মুন্সিরহাট, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।