আমরা যখন কঠিন মানসিক চাপের ভেতর দিয়ে যাই তখন শরীর বিভিন্ন উপায়ে তার প্রতিক্রিয়া দেখায়। চোখের পাতা লাফানো মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।
পরিমিত ঘুমের অভাব বা অন্য কোন কারণে ক্লান্তি থেকেও চোখের পাতা লাফানো শুরু হতে পারে। ঘুমের অভাবে চোখের পাতা লাফালে পরিমিত ঘুম হলেই সেরে যাবে।
দৃষ্টিগত কোন সমস্যা থাকলে চোখের উপর চাপ পড়তে পারে। টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের স্ক্রীনের আলোও চোখের দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলতে পারে। আর এই সব সমস্যা থেকে চোখের পাতা লাফানো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন ক্যাফিন এবং এ্যালকোহল অতিরিক্ত সেবনে চোখের পাতা লাফাতে পারে। তাই ক্যাফিন এবং এ্যালকোহলের ব্যবহার মাত্রা কমিয়ে এনে এ সমস্যা থেকে উদ্ধার পাওয়া সম্ভব।
কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে, অতিরিক্ত এ্যালকোহলের প্রভাবে, চোখে কন্ট্যাক্ট ল্যান্স ঠিকমতো না বসলে কিংবা বয়সজনিত কারণে চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। চোখের শুষ্কতা চোখের পাতা লাফানোর জন্য দায়ী বলে চক্ষু চিকিৎসকরা মনে করেন।
কিছু কিছু প্রতিবেদনে পুষ্টির ভারসাম্যহীনতাকে চোখের পাতা লাফানোর একটি কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব জনিত কারণে এমনটি হতে পারে বলে দাবী করা হয়েছে।
যাদের চোখে এলার্জি আছে, তারা চোখ চুলকায় বা হাত দিয়ে ঘষে; ফলে চোখ থেকে পানির সাথে কিছুটা হিস্টামিনও নির্গত হয়। ধারণা করা হয় হিস্টামিন চোখের পাতা লাফানোর জন্য দায়ী। চোখের পাতা লাফানোর উপর ভালো বা মন্দ সংবাদের কোনটিই জড়িত না থাকলেও যদি মাত্রাতিরিক্ত চোখের পাতা লাফায় তবে সেটি আপনাকে মন্দ সংবাদই দেবে যে— আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলে সেটা অবশ্যই হবে সুসংবাদ। সুস্থ থাকুন।