আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - ভোর ৫:৪৮

জনগণের পাশেই আছেন শাহীন চাকলাদার।

ডেস্ক রিপোর্ট।। করোনা প্রাদুর্ভাবে যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত হলেও মাঠ ছাড়েনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহীন চাকলাদার।

নির্বাচিত না হয়েও জনগণের দুঃসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্থে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রেখেছেন শাহীন চাকলাদার। এতে গোটা কেশবপুর উপজেলায় আপামর মানুষের আস্থা-বিশ্বাসের ঠিকানা হয়ে উঠেছেন শাহীন চাকলাদার।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় ইতোমধ্যে একটি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন, একটি মনিটর যুক্ত ইসিজি মেশিন, একটি থার্মাল স্ক্যানার দিয়েছেন। এছাড়া কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহানের কাছে বিপুল পরিমাণ মাস্ক, হ্যান্ড স্যানেটাইজার ও পিপিই দিয়েছেন। পাশাপাশি গোটা যশোর জেলার আট উপজেলায় দুস্থ-অসহায়-কর্মহীন ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা জেলা প্রশাসক ও দলীয় নেতাদের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা শহরে কয়েকটি ট্যাংক লরির মাধ্যমে জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম চলছে।

যশোর জেলা যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম চাকলাদার ফন্টু বলেন, প্রথম পর্যায়ে শাহীন চাকলাদারের পক্ষ থেকে ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাধ্যমতো জনগণের পাশে থাকবো আমরা।

তিনি আরও বলেন, প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেক পরিবার ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ ও ৫০০ গ্রামের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাচ্ছেন।

এক প্রশ্নে উত্তরে ফন্টু চাকলাদার বলেন, জনগণের পাশে থাকার সঙ্গে ভোটের যোগসূত্র নেই। কয়েক মাস আগে কেশবপুরের সংসদ সদস্যের (এমপি) মৃত্যু হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ওই আসনে শাহীন চাকলাদারকে মনোনয়ন দেন। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই যশোরের আট উপজেলাতে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাস, বন্যাসহ সব বিপদে শাহীন চাকলাদার জনগণের পাশে থাকেন।

কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমীন বলেন, ভোটের প্রচরণায় আমরা জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার যে ওয়াদা করেছিলাম, তা নির্বাচিত হওয়ার আগেই বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের জনসমাগম এড়াতে কিছুটা গোপনে হলেও প্রায়ই শাহীন চাকলাদার কেশবপুরে যাতায়াত অব্যাহত রেখেছেন। এখানে এসে দলীয় নেতাদের সঙ্গে জরুরি মিটিং করে জনগণের বিপদে করণীয় নির্ধারণ-সচেতনতা বাড়াতে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রতিদিনই সকাল-দুপুর-রাতে ফোনে উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি খোঁজ নিচ্ছেন। ব্যক্তিগত অর্থে খাদ্য সহায়তা-চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে অনেক বড় মনের পরিচয় দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কেশবপুর আসনে এমপি প্রার্থী হিসেবে তাকে অনন্য মনে করছি। তাকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের যেকোনো সংকট মোকাবিলায় পাশে থাকবো।   

এর আগে, ২৯ মার্চ কেশবপুর উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচরণায় উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল। ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে ভোট প্রার্থনায় গিয়ে নির্বাচিত হয়ে জনগণের বিপদে-আপদে পাশে থাকা ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি শোনাচ্ছিলেন প্রার্থীরা। এরইমধ্যে, গত ২১ মার্চ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে উপ-নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। সেই দিনই প্রচার মাইক ও পথসভা বন্ধ করে মাঠ ছাড়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ এবং জাতীয় পার্টি প্রার্থী এসএম হাবিবুর রহমান।

এরপর কয়েকদিনের মধ্যেই করোনা মোকাবিলায় দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা, যানবাহন-দোকানপাট-কলকারখানা বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এতে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে শ্রমিক-দিনমজুর ও দুস্থ মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খেতে শুরু করেন। তবে, এই উদ্ভুট পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন একমাত্র প্রার্থী শাহীন চাকলাদার।

আরো সংবাদ