১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে সপরিবারের হত্যা করার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল এদিনে। দিনটি ছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনিরা মনে করেছিল আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। কিন্তু আজকে প্রমাণিত হয়েছে ব্যক্তি মুজিবকে তারা হত্যা করতে পেরেছে, কিন্তু মুজিব আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি।’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস ও একুশ আগস্টের গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। শনিবার বিকেলে বাঘারপাড়ার বন্দবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজী বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিব লক্ষ্য কোটি মানুষের অন্তরে, ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যাকারীরা তখন দেশে না থাকা বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনাকে হত্যা করতে চেয়েও পারেনি। তাই তখনকার খুনি চক্রের উত্তরসূরিরা ২০০৪ এ একুশে আগস্টে ঐ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশনের চক্রান্ত করে। এই ঘৃণ্য হত্যাকরীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করে ভবিষ্যতে এধরনের হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হবে।

বিকেল পাঁচটায় খাজুরা বাজার পশুহাট চত্বরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ মন্ডল। আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম আফজাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজী। বন্দবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ মন্ডলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক নজরুল ইসলাম, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস শেখ, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আফজাল হোসেন সঞ্জিব, সদরের ইছালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আসাদুজ্জামান আসাদ, বাঘারপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বায়েজীদ হোসেন প্রমুখ।