আজ - বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৬:৫৪

জাতীয় দলের বোলিং কোচ হতে চান খালেদ মাহমুদ

বাংলাদেশ দলে কোচের পদ শূন্য হলেই বিদেশিদের খোঁজ শুরু হয়, অথচ চোখ খুললেই আশপাশে কত স্থানীয় কোচ! মাঝেমধ্যে অবশ্য অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় স্থানীয় কাউকে। সরওয়ার ইমরান, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, খালেদ মাহমুদরা আগে কাজ করেছেন, তবে অস্থায়ী ভিত্তিতে। হুট করে প্রোটিয়া বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ায় আবারো পেস বোলিং কোচের পদটি শূন্য হয়েছে। তাই আবার আলোচনা, এই পদে কি স্থানীয় কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় না? বিদেশি কোচই নেওয়া হবে শেষ পর্যন্ত? খালেদ মাহমুদ অবশ্য স্থানীয় কোচদের সুযোগ পাওয়ার পক্ষে।

ল্যাঙ্গেভেল্টের ছেড়ে যা্ওয়া পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব স্থানীয় হিসেবে তিনিও পাওয়ার দাবি করতে পারেন। খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে ছিলেন অলরাউন্ডার, লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। খালেদ মাহমুদ তাঁর আগ্রহটাকে অপ্রকাশিত রাখেননি, ‘সুযোগ পেলে তো সবাই আগ্রহী হবে।এর আগেও দুইবার আমি বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। বলাই ছিল যে একটা সময়সীমার জন্য।তারপরও ধরেন যখন বাদ পড়ি, রেজাল্ট খারাপ হয় তখন খারাপ লাগে।আমি আগেও বলেছিলাম লংটার্মের জন্য করলে ভালো। শর্টটার্মের জন্য করলে একটা দল গোছানো কঠিন।’

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ শুধু নয়, বোর্ড সভাপতি নিজেও মনে করেন স্থানীয় কোচরা বিদেশি কোচদের চেয়ে পিছিয়ে! তাই তো জাতীয় দল থাক, কোথাও সুযোগ হয় না স্থানীয়দের। এই জায়গায় আপত্তি খালেদ মাহমুদের। বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের সামনে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘পাপন ভাই(বিসিবি সভাপতি) কেন বলেছেন আমি জানি না। আমার মনে হয় না স্কিলের দিক থেকে স্থানীয়রা পিছিয়ে আছে। ক্রিকেট আসলে ফিক্সড টেকনিক্যাল একটা খেলা। এটাতে কাভার ড্রাইভ, স্কয়ার কাট যখন মারবে, তখন একই টেকনিকে সব ব্যাটসম্যান মারে। কেউ কিন্তু অন্যভাবে মারতে পারবে না, এটা কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না। হতে পারে উনি হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন যে কাগজে-কলমে আমরা পিছিয়ে আছি। হতে পারে গেম প্ল্যানিং… সেখানে কিন্তু আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট ভালো কাজ করছে। স্কিলের দিক থেকে আমি মনে করি না, আমরা কেউ পিছিয়ে আছি।’

বঙ্গবন্ধু বিপিএল শুরু হওয়ার আগে গুঞ্জন উঠেছিল স্থানীয় কোচরা কেউই কোচিং করাতে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য শুধু মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও মিজানুর রহমান সুযোগ পেয়েছেন কেচিংয়ে। মাহমুদ বোর্ডের কাছে প্রশ্ন রাখেন, সুযোগ না দিলে কিভাবে স্থানীয় কোচরা নিজেদের প্রমাণ করবে, ‘আমাদের স্কিল, আমাদের জানা আছে। সুযোগ পাচ্ছি না আমরা। আপনি একজন কোচকে কিভাবে যাচাই করবেন, আপনি তো একটা সিরিজ দিয়ে যাচাই করতে পারেন না। বাংলাদেশ দল যদি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলে আপনি কি একজন কোচকে যাচাই করতে পারবেন? একটা সময় ধরে কাজ করলে আপনি যাচাই করতে পারবেন। দল কেমন, কাদের বিপক্ষে খেলছেন, কী পরিকল্পনা, কোন কন্ডিশনে খেলছেন- সবকিছুই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কোচের জন্য। একজন কোচ নিয়োগ দিয়ে তার ওপর বিশ্বাস রাখাটা খুব জরুরি এবং তাকে সে সময়টা দেওয়া উচিত। প্রশ্ন হচ্ছে, এই সুযোগ কি স্থানীয় কোচরা পাচ্ছে?’

সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার জেমস ফস্টারের উদহারণ টেনে মাহমুদ বোর্ডের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে যারা ভালো কোচিং করাচ্ছে, তাদের এখন একটা সুযোগ দেওয়া যেতেই পারে। আমি জেমস ফস্টারের কথাই বলি, মাত্রই খেলা ছাড়লেন, ২০১৮ সালে। এক বছরের মধ্যেই কিন্তু বিপিএলের হেড কোচ। সে সুযোগটা কিন্তু আমাদের ছেলেদের নেই। বিসিবির উচিত স্থানীয় কোচদের তুলে এনে কাজের সুযোগ করে দেওয়া, সেটা জাতীয় দল হতে পারে এইচপিতে হতে পারে।’

আরো সংবাদ