আজ - রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - দুপুর ২:২৭

জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন মনিরামপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান

জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ও তার ভাগ্নের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন জীবনাশংকায় রয়েছেন।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাজমা খানম জানান, তিনি জনগণের ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করলে শুরুতেই প্রভাব বিস্তার শুরু করেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও তার ভাগ্নে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু। এডিবি, টিআর, কাবিখা সকল বরাদ্দ তারা তাদের লোকজনের মাধ্যমে বন্টন করেছে। এমনকি করোনাকালে ত্রাণের চাল আত্মসাতের চেষ্টাও করেছে ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনি চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অথচ প্রতিবাদ করায় তার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। করা হয়েছে শ্লীলতাহানীও। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার গাছের উম্মুক্ত নিলামেও বাধা দিয়ে ব্যবসায়ীদের টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ও প্রতিমন্ত্রী পোষ্য বাহিনী।

তিনি বলেন, উপজেলার শহাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন কিছু গাছ বিক্রির জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মণিরামপুর প্রকাশ্য নিলাম আহ্বান করেন। নিলামে অংশগ্রহনের জন্য হাবিবুর রহমান হাবিব এবং সবুজ কর নামে দুইজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও মণিরামপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু সন্ত্রাসী বাহিনী হুংকার দিয়ে বলে-এই নিলামে অন্য কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবে না। করলে জানে মেরে ফেলে দেব। উক্ত হুংকার দিয়েই সন্ত্রাসী পেটোয়া বাহিনী হাবিব এবং সবুজ এর উপর অতর্কিত হামলা করে এবং নিলামে অংশগ্রহণের জন্য তাদের কাছে থাক নগদ ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদের একটি ঘরের মধ্যে জোরপূর্বক আটকে রাখে। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সন্দীপ ঘোষ ও আমার ব্যক্তিগত সহকারী মনিরুল ইসলাম নয়নকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্রের স্বার্থ, শান্তি শৃংখলা রক্ষা, এবং দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌছালে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্রনেতা সন্দীপ ঘোষ ও ব্যক্তিগত সহকারী মনিরুল ইসলামকে মারাত্বকভাবে জখম করে। এছাড়া আমাকেও অপমান অপদস্থ করা হয়।

এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে চিহ্নিত অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করলেও প্রতিমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া এজাহারটি নথিভুক্ত করতে থানার কর্মকর্তা অস্বীকৃতি জানায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশতি পথে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে জনমুখী কল্যাণকর প্রতিটি উদ্যোগে ভাইস চেয়ারম্যান বাচ্চুর বিভিন্ন বাধার সম্মুখিন হয়ে জীবন ওষ্ঠাগত। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে জনস্বার্থে তিনি আর কাজ করতে পারছেন না। একইসাথে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন নিয়ে চরম শংকায় রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহস সন্দীপ ঘোষ, আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ দাস, মিকাইল হোসেন, কাজী টিটো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো সংবাদ