আজ - শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৭:৫২

জেলা আ’লীগ একট্টায় ব্যর্থ নাবিল আহমেদ। এখনো ক্যু!?

যশোর প্রতিনিধি: আজ বিকাল ৪ টায় যশোর জেলা আ’লীগের পূর্বঘোষিত র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে জেলা ও উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেন এমপি নাবিল। বিবারজমান বাদানুবাদ স্নায়ুদন্দ সব কিছু ভূলে একত্রে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। উপজেলা আ’লীগের এক বর্ধিত সভায় তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। সবশেষে আজ একাত্মতার বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ জেলা আ’লীগের ব্যানারে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালির প্রথম সারিতে জেলা আ’লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, এমপি নাবিল আহমেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু ও সদর উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মোহিত কুমার নাথদের দেখা মিলেছে তবে।
উপস্থিত ছিলেন না যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহিন চাকলাদার এবং জেলা উপজেলা সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। ১৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কেউ উপস্থিত ছিলনা।
এছাড়াও উল্ল্যেখ যোগ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেননা নওয়াপাড়া ইউনিয় আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রুস্তম আলী মুকুল,উপশহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তবি ডাক্তার, দেয়াড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর , চাঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সেক্রেটারি , রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন ও সেক্রেটারি হাসানুজ্জামান। ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন সেক্রেটারি রবীন্দ্রবসু। নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাশেম বিশ্বাস ছিলেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ইউনিয়নের সভাপতি বলেন আমমাদের কোন মিছিলের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। হৈবতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন শারিরীক অসুস্থতার কারনে মিছিলে যেতে পারেনি কেউ মিছিলে যেতে বারন করেছে কিনা উত্তরে তিনি পাল্টাপ্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিছিলে ছিলেন না তাকে কি কেউ বারন করছে। উল্লেখ্য নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের স্ত্রী।
যশোর জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি,সাধারন সম্পাদক, আহ্বায়ক কমিটির কেউই উপস্থিত ছিলেননা। তবে পৌর মেয়র ও যশোর জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রেন্টু চাকলাদারের বহর ছিলো চোখে পড়ার মত।
অনুপস্থিতির ব্যাপারে বিশ্লেষকরা বলছেন এটা এমপি নাবিলের সাংগাঠনিক ব্যর্থতা ও জনবিচ্ছন্নতার প্রতিচ্ছবি।

তিনি এখনো দক্ষ সংগঠক হয়ে উঠতে পারেননি। আজকের এই চিত্র নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে বলেও শঙ্কাপ্রকাশ করেন তাঁরা। সর্বপরি আজকের এই আনন্দ র‌্যালিকে জেলা আওয়ামীলীগের একাংশের মিছিল বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন বিশ্লেষকরা। তাঁরা বলছেন, জেলা আ’লীগ এখনো ঐক্যবদ্ধনা। দ্রুত গ্রুপিং নিরসন না করা গেলে দলের জন্য ক্ষতিকর দিক হয়ে উঠবে এই ইস্যু।

আরো সংবাদ