স্টাফ রিপোর্টার।। যশোর ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ইয়াকুব কবিরে নেতৃত্বাধীন মল্লিক-সালেক- ইয়াকুব কবির ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের ২৭টি পদের মধ্যে ২৪টিতেই জয় পেয়েছে। অপরদিকে মোকসেদ সফী-সরু চৌধুরী- আসাদুজামান মিঠু নেতৃত্বাধীন প্যানেলে থেকে মাত্র ৩জন জয়ী হয়েছেন। গতকাল যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে রিটানিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এবারে নির্বাচনে ২১৯ ভোটারের মধ্যে ২০৮জন তাদের ভোটারধিকার প্রয়োগ করেছেন।
এদিকে, মোকসেদ সফী-শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী-আসাদুজামান মিঠু নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি এবং নির্বাহী সদস্য ও মহিলা সংরক্ষিত পদ থেকে একজন করে জয় লাভ করেছেন। এ পরিষদ ৪৩টি প্যানেল ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে মল্লিক-সালেক-ইয়াকুব কবির ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ ৬০টি প্যানেল ভোট পেয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জাকির হাসান জানান, ১২৭ ভোটে সহ-সভাপতি পদে এজেডএম সালেক, ১১৬ ভোটে আখিরুজ্জামান সান্টু, ১০৬ ভোটে সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সফিউর রহমান মল্লিক ও ৯৯ ভোটে সহ-সভাপতি মোকসেদ সফী সহ-সভাপতি পদে জয় লাভ করেছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ১১৮ ভোটে জয় পেয়েছেন ইয়াকুব কবির ও অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে ১১৯ ভোটে জয় পেয়েছে এমএ আকসাদ সিদ্দিকী শৈবাল। ১১৫ ভোটে যুগ্ম-সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন শহীদ আহমেদ ও ১১১ ভোটে একই পদে এবিএম আখতারুজ্জামান জয়ী হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে ১১১ ভোটে জয় পেয়েছেন সোহেল মাসুদ হাসান টিটো। অপরদিকে এ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৩৬ ভোটে নির্বাহী সদস্য পদে জয় লাভ করেছেন শেখ শামস্- উল বারী শিমুল, ১৩০ ভোটে রায়হান সিদ্দিকী প্রবাল, ১২৮ ভোটে এহসানুল হক সুমন, ১২২ ভোটে আজগার আলী খান টিটো, ১১৮ ভোটে সোহেল আল মামুন নিশাদ, ১১৭ ভোটে আমিনুল ইসলাম, ১১৬ ভোটে হিমাদ্রী সাহা মনি, ১১৬ ভোটে আনোয়ার হোসেন মোস্তাক, ১১৪ ভোটে শিমুল বিশ্বাস শিমু, ১১৪ ভোটে খায়েরুজ্জামান, ১১২ ভোটে মাহমুদ রিবন, ১১০ ভোটে ইউসুফ হাসান, ১০৯ ভোটে এসএম শামীম এজাজ, ১০৫ ভোটে নজরুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। আর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সংরক্ষিত নির্বাহী সদস্য পদে ১১৬ ভোটে এসএম মাহমুদ হাসান বিপু ও ১০৭ ভোটে জুলহাস উদ্দিন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২২ ভোটে সায়েদা বানু ও ১০৮ ভোটে ফেরদৌসি বেগম জয় লাভ করেছেন।
ফলাফল ঘোষণা শেষে যশোর ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা জাকির হাসান বলেন, ২১৯টি ভোটের মধ্যে ২০৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে থেকে ১টি ভোট নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারে ভোটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভিডিও আওয়তায় আনা হয়েছিলো